এমপি শিমুলের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী | 2023-09-01 14:11:42

নাটোর-২ (নাটোর সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।গত ২৯ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. সরকার সুজিত কুমার জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়ে এই জিডি করেন।

জিডিতে তিনি উল্লেখ্য করেন, আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন শিক্ষক এবং বর্তমানে বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি সপরিবারে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কুমারপাড়ায় বসবাস করছি। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমি মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে চারটি গ্রন্থ রচনা করেছি। তারমধ্যে একটি নাটোর জেলার ইতিহাস এতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ অন্যতম। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর ২০১০ সালে গ্রন্থটি প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয। দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের বইমেলায়। উক্ত গ্রন্থ নাটোর সদর আসনের (নাটোর-২) সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের পিতার নাম একাত্তরের রাজাকারের তালিকায় স্থান পেয়েছে। প্রথম গ্রন্থ প্রকাশের ৩১০ পৃষ্ঠা, প্রথম সংস্করণের ৩৬১ পৃষ্ঠায় এবং দ্বিতীয় সংস্করণের ৬০০ পৃষ্ঠায় রাজাকার হাসান আলীর নাম মুদ্রিত হয়েছে। আমি মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের নাম মাঠ পর্যায়ে ৩ বছর যোগাযোগ করে নাটোর জেলার গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে সাক্ষাৎকার নিয়ে ছবি তুলে তথ্য সন্নিবেশিত করেছি। একাধিক সাক্ষাৎকারদাতা নাটোর কান্দিভিটার (পুরাতন কোর্টপাড়া) হাসান আলী একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় একজন কুখ্যাত রাজাকার ছিল বলে তথ্য দিয়েছে। আমি তাদের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী গ্রন্থতে নাম সংযোজন করেছি।

জিডিতে তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ গঠন নিযে নিজেদের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ও ভিন্ন মত সৃষ্টি হলে আমার বই নিয়ে আলোচনায় আসে। এরপর সংসদ সদস্য শিমুলের পক্ষ অবস্থান নিয়ে ইতিমধ্যেই আমাকে কিছু অপরিচিত সন্ত্রাসী জীবননাশের হুমকি বারবার দিয়ে যাচ্ছে। আমি একজন নিরস্ত্র শিক্ষক । এখন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি বিধায় অইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছি।

অপরদিকে হুমকির প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল বলেন, এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমি কাউকে হুমকি দেইনি। এমনকি আমার কোন সমর্থক এর সাথে জড়িত নয়। আমি ইতিমধ্যেই নাটোরের এসপি এবং ডিআইজিকে বলেছি সুষ্ঠু তন্তদের জন্য। মোবাইল ট্যাকিং করলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, সুজিত কুমারের সাথে কার যোগাযোগ আছে এগুলো বের করলেই সব ষড়যন্ত্র বেরিয়ে আসবে বলে মনে করি। সুজত সরকার যে বইটি প্রকাশ করেছেন সেখানে প্রথম সংস্করণে নাম ছিল হাসান আলী। সেখানে কোন ঠিকানা ছিল না। এরপরের সংস্করণে হাসান আলী সাথে সরদার যুক্ত করছে। অর্থাৎ কোন কিছুর সাথে কোন মিল নেই। খুব পরিকল্পিতভাবে এই কাজগুলো করা হয়েছে। আমিও এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।

এ সম্পর্কিত আরও খবর