বর্ষার সময় ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রকোপ বাড়তে পারে। তাই, এ সময় অধিক সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসজনিত জ্বর যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়। সাধারণ চিকিৎসাতেই এ রোগ দুটি সেরে যায়, তবে হেমোরেজিক ডেঙ্গুজ্বর মারাত্মক হতে পারে। এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি রোধের মাধ্যমে এই রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কিছু পরামর্শ অনুসরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
পরামর্শগুলো হলো: ঘরে এবং আশেপাশে যে কোন পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি তিনদিন পরপর ফেলে দিলে এডিস মশার লার্ভা মরে যাবে।
ব্যবহৃত পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘষে ঘষে পরিস্কার করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা বা নারিকেলের মালা, কন্টেইনার, মটকা, ব্যাটারী সেল ইত্যাদিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।
পানি যাতে না জমে সেজন্য অব্যবহৃত পানির পাত্র ধ্বংস করতে হবে অথবা উল্টে রাখতে হবে।
দিনে অথবা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারী ব্যবহার করতে হবে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দ্রুত যোগাযোগ করতে হবে।