রংপুরের মিঠাপুকুরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে আসামি ধরতে গিয়ে আসল পুুলিশের হাতে ধরা খেলেন দুই প্রতারক।
রোববার (৮ আগস্ট) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
দুই প্রতারক হলেন- উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের বাতাসন দুর্গাপুর মৌসুমীপাড়া গ্রামের মৃত নুরুজ্জামানের ছেলে কামরুজ্জামান ও জায়গীর বাসস্ট্যান্ড মসজিদ সংলগ্ন সাইফুল ইসলামের ছেলে দুলাল মিয়া।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আরিফুল ইসলাম নামে এক মোটরসাইকেল মেকানিক কাফ্রিখাল ইউনিয়নের মহদীপুর গ্রামে বিয়ে করেন। সেখানে বউয়ের সঙ্গে মনোমালিন্য হলে ২৭ জুলাই শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরিফুলকে বেধড়ক মারধর করে। এরপর সুযোগ বুঝে আরিফুলের পরিবারের লোকজনও তার শ্বশুরবাড়ির একজনকে মারধর করেন।
এ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে আরিফুলের বিরুদ্ধে মিঠাপুকুর থানায় মামলা করা হয়। এরপর কাফ্রিখাল ইউনিয়নের কোনাপাড়া গ্রামে দুলাভাইয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে যান আরিফুল ইসলাম। এ সুযোগে রোববার ভোরে কামরুজ্জামান ও দুলাল নামের দুজন পুলিশ পরিচয় দিয়ে ওই বাড়িতে আরিফুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। এ সময় এলাকাবাসী পুলিশের পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেননি। পরে তারা ৯৯৯-এ ফোন দেন। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানার পুলিশ গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আরিফুলের বোন বেবি নাজনিন বাদী হয়ে ওই দুজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেন জানান, আসামিদেরকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান বলেন, আরিফুলের নামে মামলা ছিল। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃতরা পুলিশ সেজে তার বাড়িতে যায়। সেখানে তারা পুলিশের পরিচয় দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। পরে খবর পেয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দুইজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।