চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় তীব্র ভাঙন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ | 2023-08-30 21:14:13

এপার ভাঙে ওপার ভাঙে, এইতো নদীর খেলা। সময়ে সময়ে যেন পদ্মার গতিপথ পরিবর্তন হয়। বাস্তবিক পদ্মার খেলা দেখা বড় দায়। পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে ৫৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পদ্মা বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। পাশাপাশি নদী ভাঙনে মূল্যবান বসতবাড়ি ও ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। আর ভাঙনরোধে সংশ্লিষ্ট বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে জমিসহ বসতভিটা নদীতে বিলীন যাবে। জেলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে এ ইউনিয়ন।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে পদ্মার পানি বাড়ার সাথে সাথে চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১নং ও ২নং ওয়ার্ডের গোয়ালডুবি ও বাখর আলী এলাকায় আবার তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। মুহূর্তের মধ্যে ৮/১০টি বাড়ি, ৪০ বিঘা আমবাগানসহ ধানি জমি বিলীন হয়ে গেছে। এলাকার মানুষ শুধু তাকিয়ে দেখছে, রাক্ষসী পদ্মার চেহারা। কখন কোন রুপ ধারণ করছে তা পদ্মা পাড়ের মানুষকে ভাবিয়ে তুলেছে। একসময় এ এলাকায় ছিল কলাহোলপূর্ণ। দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে বসতিপূর্ণ গ্রামগুলো। ইতোমধ্যে ভাঙনের আশংকায় এলাকার মানুষ বসতভিটার টিন ও আসবাবপত্র এখন এসব অঞ্চলের মানুষের মাঝে চাপা কান্না। না জানি আবার পদ্মার হুঙ্কার আবার কোনদিকে মোড় নেয়। ভাঙন এলাকার মানুষ এখন নির্ঘূমের মধ্যে সময় পার করছে। এভাবে চলছে তাদের জীবন সংগ্রাম।

পদ্মার পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গায় আবারও শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন

চরবাগডাঙ্গার বাখর আলী গ্রামের আজমল হোসেন জানান, নদীর গতিপথ বোঝা বড় দায়। হঠাৎ করে বাখর আলী এলাকার ইসমাইলের বাড়ি থেকে কালামের বাড়ি পর্যন্ত ভাঙন দেখা দিয়েছে। গোয়ালডুবি ও বাখর আলী গ্রামে ৮টি বাড়িসহ ফসলী জমি বিলীন হয়ে গেছে। তারা ভিটেমাটি হারিয়ে কোথায় যাবে সে ভাবনায় রয়েছে। এরকম আকস্মিক ভাঙা তারা কখনই দেখেননি।

চরবাগডাঙ্গা ইউপি সচিব মাযহারুল ইসলাম জানান, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গত ৩ দিন ধরে নতুনভাবে গোয়ালডুবি ও বাখর আলী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়ায় এলাকার মানুষের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

এদিকে, ভাঙন এলাকা অতিরিক্ত জেলা প্রাশাসক (রাজস্ব) জাকিউল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফফাত জাহান পরিদর্শন করেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন এলাকায় বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধ করা হয়েছে। এছাড়া উজানের পানি যাতে নদী পাড়ে আঘাত না আনতে পারে সেজন্য জিও ব্যাগ ফেলা শুরু হয়েছে, তাহলে আপাতত এলাকাগুলো রক্ষা পাবে। পদ্মা বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প’র অংশের কাজ এটি, পানি কমলে কাজ শুরু হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর