সিএমএইচে ভর্তির আগে কবি হেলাল হাফিজ একান্ত সাক্ষাৎকারে বলছিলেন ‘মাই ডেইজ আর নাম্বার্ড। হয়তো অসীমের ডাক এসে গেছে। শরীর দূর্বল, মনেও বল পা্চ্ছি না।’
তবে হাসপাতালে ভর্তির পরদিন গতকাল বুধবার রাত নয়টায় ফোনে উচ্ছ্বসিতকন্ঠে বললেন, ‘এখানে আসার পরই কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় জীবনের প্রতি আস্থা ফিরে পেয়েছি।’
মঙ্গলবার কবির রক্তপরীক্ষা, চোখ, কান পরীক্ষা ও সিটিস্ক্যান, ইসিজি করোনা হয়েছে। এসব রিপোর্ট আসার অপেক্ষায়।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিএমএইচ এর মেজর আশেকউদ্দিন তাকে শাহবাগের সুপারহোম হোস্টেল থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সিএমএইচে ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসানের অধীনে তাকে ভর্তি করা হয়।
কবি আরও বলেন, পিজি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনার আলোকে এখানে ভর্তি হতে পরে স্বস্তি পেয়েছি, সে মতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
আগস্ট মাসের শুরুতে হোটেলে থাকাকালীন জ্বর, সর্দ্দিতে আক্রান্ত হয়ে কবি বিছানাগত হয়ে পড়লে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিনের তত্ত্বাবধানে তার কোভিড পরীক্ষা করা হয়। সে রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
হাসপাতালে ভর্তির পূর্বদিন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কবি বলেন, আমার সময় বোধ হয় হয়ে গেছে। ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়েছি। মুখে রুচি নেই। একাকী চলাফেরা করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। নিঃসঙ্গতা বড় শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মানসিক অবস্থায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। ভরজীবন স্থির মানুষ আমি এখন শেষবেলায় এসে অস্থির হয়ে পড়েছি। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
তিনি মনে করেন, পুরনো রোগের সঙ্গে নিউরোলজিক্যাল সমস্যা এর কারণ হতে পারে।
‘যে জলে আগুন জ্বলে’র কবি হেলাল হাফিজ কিডনি, ডায়াবেটিস, চোখের গ্লূকোমা, কানে কম শোনাসহ নানারোগে ভুগছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তার চোখের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এবার সিএমএইচে তার চিকিৎসা চলছে।