যানবাহনের তুলনায় ফেরি স্বল্পতা রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা কাজিরহাট নৌরুটে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে নৌরুট দুটির উভয় ফেরিঘাট এলাকায়। নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। থেমে থেমে রৌদ আর বৃষ্টিতে বাড়ছে ভোগান্তি।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে ৭ শতাধিক যানবাহন। আর আরিচা ঘাট এলাকায় রয়েছে আরও প্রায় দেড় শতাধিক যানবাহন।
পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় অপেক্ষমান যানবাহনগুলোর মধ্যে দুই শতাধিক ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি ও শতাধিক বাস এবং ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক রয়েছে। আর আরিচা ঘাট এলাকায় শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ৫০ থেকে ৬০টি ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৮টি ফেরি রয়েছে। এরমধ্যে বিকল হয়ে কারখানায় মেরামতে রয়েছে বড় একটি ফেরি। বাকি ১৭টি ফেরি যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নৌরুটে চলাচল করছে। আর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলছে ছোট বড় মিলে তিনটি ফেরি।
রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলায় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুট। প্রতিদিন গড়ে প্রায় আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার হয় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটের প্রতিটি ঘাট দিয়ে। আর আরিচা-কাজিরহাট হয়ে পারাপার হয় পাঁচ শতাধিক যানবাহন।
এই সংখ্যার অতিরিক্ত যানবাহন ঘাট অভিমুখে আসলে পড়তে হয় ভোগান্তিতে। ঘাট এলাকায় শুরু হয় যানজট। যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি নৌরুট পারাপার করা হয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। এতে করে পণ্যবাহী ট্রাক চালকেরা পড়েন অধিক ভোগান্তিতে।
যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোটগাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপারের সুযোগ পেলেও অধিক সময়ে ভোগান্তিতে পড়েন পণ্যবাহী ট্রাক চালকেরা। আধ ঘণ্টার নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয় দুই থেকে তিন দিন। এতে করে শারীরিক শ্রমের পাশাপাশি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন ট্রাক চালকেরা।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্ালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, গেলো এক সপ্তাহ ধরে বাড়তি যানবাহনের চাপ রয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট এলাকায়। যানবাহনের সংখ্যা বাড়লেও বাড়েনি ফেরি। যে কারণে ভোগান্তি লাঘবের কোনো উপায় নেই।
সবশেষ পাটুরিয়া এবং আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় ৮ শতাধিক যানবাহন নৌরুট পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। নৌরুটগুলোর দৌলতদিয়া এবং কাজিরহাট ঘাটের অবস্থাও প্রায় একই। দ্রুত সময়ের মধ্যে নৌরুট দুটিতে বড় ফেরির সংখ্যা না বাড়ালে ভোগান্তি চলমান থাকবে বলে জানান জিল্লুর রহমান।