জামায়াতের সঙ্গে জোটকারী দলকেও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 11:55:58

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আদালতের নির্দেশে নির্বাচনের অযোগ্য হওয়ায় দলটির সকল সদস্যও নির্বাচনের অযোগ্য। তারা স্বতন্ত্র থেকেও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। এমনকি জামায়াতের সঙ্গে জোট করেও কোনো দল নির্বাচন করলে সে দলও নির্বাচনের অযোগ্য হবে বলে দাবি করেছে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি।

মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে আদালতের দেওয়া আদেশের ব্যাখ্য দিয়ে এমন দাবি করেছে ঘাতক-দালাল নির্মুল কমিটি।

জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের ব্যাখ্যায় বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জানি তাই ব্যাখ্যা দিয়েছি-যে জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত। তাই জামায়াতের কোনো সদস্য কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। একই সঙ্গে এ দলটির সঙ্গে জোটগতভাবে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সে দলও নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই ব্যাখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামও যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারবো।

অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, আমরা তিনটি দাবি জানিয়েছি, প্রথমত জামায়াতসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো দল বা ব্যক্তি যেন নির্বাচনের সুযোগ না পায়। এজন্য প্রার্থীর কাছ থেকে অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর নেওয়া, যে তিনি কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়, স্বাধীনতা বিরোধী নয়, আদালতের রায়ে নিবন্ধন বাতিল হওয়া বা নির্বাচনের অযোগ্য কোনো দলের সদস্য নয় বা সম্পৃক্ত নয়। দ্বিতীয়ত; সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তৃতীয়ত, সেনাবাহিনীকে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না করা।

এছাড়াও আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য করতে পাঁচ দফা দাবি নিয়ে জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।

ইসির কাছে কমিটির পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- ঝুঁকিপূর্ণ সকল নির্বাচনি এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে হুমকি প্রদানকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; জামায়াতের অনুসারিদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা ও  নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দলকে ঘোষণা করতে হবে যে, তাদের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই; নির্বাচনের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান বিরোধী এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতি ঘৃণা-বিদ্বেষ প্রচারকারীদের শাস্তির আওতায় আনা; ৭১ এর গণহত্যাকারীদের সন্তান বা পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যারা সর্বোচ্চ আদালতের রায় অগ্রাহ্য করছে তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার অযোগ্য ঘোষণা এবং সেনা বাহিনীকে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করলে তাদের অন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নু হবে বলে দাবিতে জানানো হয়।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলন। বৈঠকে কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর