বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম সহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলার পৃথক আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২২ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে মামলার পৃথক আবেদন দুটি করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন ও বিসিসির রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার।
আবেদন সূত্রে জানা যায়, দুটি মামলার মধ্যে অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকনের মামলায় আসামি করা হয়েছে বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম, ওই থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক, ইউএনওর নিরাপত্তারক্ষী পাঁচ আনসার সদস্য এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে।
রোববার (২২ আগস্ট) দুপুরে মামলা আবেদনের বিষয়টি বার্তা২৪.কম কে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস।
এসময় তিনি জানান, গত বুধবার (১৮ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরের ঘটনায় ইউএনও এবং ওসিসহ শতাধিক জনের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলার আবেদনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে শত্রুপক্ষের দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলামসহ তাদের সহযোগীরা হত্যার উদ্দেশে গুলিবর্ষণ করা, মারধর, ভাঙচুর এবং ১০০ কোটি টাকার সম্পদের ক্ষতি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, নিয়মিত কাজ করতে গেলে ইউএনও বাধা প্রদান করেন এবং গুলিবর্ষণ করেন। এরপর সেখানে তিনি পুলিশ এনে তাদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণ ও বেধড়ক মারধর করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতোই তিনি বরিশালে ১৮ আগস্ট সিটি মেয়রসহ নেতাকর্মী, সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের হত্যার জন্য গুলি চালান। এই অপরাধের বিচার চাইতেই আমরা আদালতে এসেছি।