‘বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 08:56:51

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেছেন, যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে, ইতিহাস মুছে ফেলতে চায়, দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়- তারা এখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়।

শনিবার (২৮ আগস্ট) জামালপুরের সরিষাবাড়ীর ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে কিনেছি এই বাংলাদেশ। কারও দয়ার দান না। কেউ আমাদের ভিক্ষা দেয়নি। আমার পিতা, পূর্বপুরুষেরা রক্ত দিয়ে এই দেশকে কিনেছেন। অতএব আমাদের অনেক দায় আছে। বঙ্গবন্ধুর মূল খুনি, প্রধান খলনায়ক, প্রধান পৃষ্ঠপোষক, প্রধান কুশীলব এবং মূল পরিকল্পনাকারী ও বাস্তবায়নকারীর নাম জিয়াউর রহমান।

ভবিষ্যতে প্রজন্ম যারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ নিমার্ণ করবে, তাদের কাছে এই খুনি জিয়ার মুখোশ উন্মোচিত করা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব। পৃথিবীর অনেক দেশে অনেক মরণোত্তর বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন ডা. মুরাদ।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার ২১ বছর পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টায় রাজনীতি করা জিয়ার প্রেতাত্মা খালেদা জিয়া ও এরশাদের ২১ বছরের দুঃশাসন দেখেছি। ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী হলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনের বিচার হলো। যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে।

জেলখানায় মহান জাতীয় চার নেতা ৭৫ এর ৩ নভেম্বর ঘাতকের হাতে নৃশংস-নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। সেই হত্যাকারীদের বিচার বাংলার মাটিতে হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার বাংলার মাটিতে চলমান। মামলার পলাতক আসামিদের বিদেশ থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় অবশ্যই কার্যকরা হবে, ইনশাআল্লাহ।

তিনি আরও বলেন, শুধু একটি মামলা, একটি বিচার, একটি রায় বাকি। সেটি হলো মূল খুনির মরণোত্তর বিচার। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতেই হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এই বিচার সম্পন্ন করে কালো দাগ মুছে ফেলতে চাই। এই আমার শপথ, এই আমার অঙ্গীকার।

বাংলাদেশের যত উন্নয়ন সব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই। বাংলাদেশ সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ তো করবেই,কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম শেখ হাসিনা।

আমাদের শপথ একটাই,রাজনীতি করার উদ্দেশ্য একটাই বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করার শপথ নিয়ে রাজনীতির মাঠে পা দিয়েছি। ডাক্তার হয়েও চাকরি করি নাই। দায়িত্ব একটাই খুনি জিয়া পরিবারের মুখোশ খুলে দেওয়া। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এই বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন করে আমাদের কপালের অভিশাপের কালো দাগ মুছে ফেলতে চাই। অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ, পৌর মেয়র মনির উদ্দীন, ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল। এর আগে প্রতিমন্ত্রী সরিষাবাড়ী পৌরসভা প্রাঙ্গণে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর