প্রতিদিন মোবাইল লেনদেন  ১ হাজার ১১০ কোটি: অর্থমন্ত্রী

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-18 14:32:48

প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এম এফ এস) মাধ্যমে লেনদেন হয় বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বুধবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় সংসদে এম আবদুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান। এরআগে বিকাল স্পিকার শিরিন শারমিনের সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।

তিনি বলেন, চলতি বছরের আগস্ট মাসের এম এফ এসের হিসেব অনুযায়ী প্রতিদিন মোবাইলের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১০ কোটি টাকা।

এমপি মামুনুর রশীদ কিরণের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে বৈদেশিক ঋণ বাবদ এবং তার সুদ বাবদ মোট ১ হাজার ৫০.৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সম পরিমাণ ৮ হাজার ২২৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। তন্মধ্যে  ঋণের আসল বাবদ  ৬ হাজার ৬৪৩ কোটি ১৪ লাখ এবং সুদ বাবদ ১ হাজার ৫৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা  পরিশোধ করা হয়েছে।

নজরুল ইসলাম বাবুর (নারায়নগঞ্জ- ২) এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১ হাজার ৯০৫.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়াও ২০১৭ সালে ১৩ হাজার ৫৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৬ সালে ১ হাজার ৬১০.৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৫ সালে ১৫ হাজার ৩১৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৪ সালে ১৪ হাজার ৯৪২.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১৩ সালে ১৩ হাজার ৮৩১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১২ সালে ১৪ হাজার ১৭৬.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১১ সালে ১২ হাজার ১৬৮.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০১০ সালে ১১ হাজার ০৪.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০০৯ সালে ১০ হাজার ৭১৭.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে।

এমপি আলী আজমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুহিত জানান, দেশে মোট  আয়কর দাতার সংখ্যা ৩৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮৯১ জন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। যার ফলে জনগণের মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে উন্নীত হয়ে ২০১৮ সালে ১৭৫১ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

আ. ফ . ম বাহাউদ্দিন নাসিমের অপর এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান,  ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭.৮ শতাংশ। গত অর্থ বছরে জিডিপির প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধি ৭.৪ শতাংশেল বিপরীতে প্রকৃত প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীত হয়। এসময় তিনি বিভিন্ন দেশের প্রাক্কলিত প্রবৃদ্ধির তুলনাচিত্র তুলে ধরেন। যেমন ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাংলাদেশের প্রাকলিত প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮, ভুটান-৮.২, মিয়ানমার-৭.৬, ভারত-৭.৫, পাকিস্তান-৬.২, মালদ্বীপ-৫.৯, নেপাল-৫.৯ এবং শ্রীলঙ্কা-৪.৫।

তিনি জানান, বিগত ৩ বছরে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ১ লাখ ৬১ হাজার ৬৩৯ জন শিক্ষত বেকারকে ২ হাজার ৬৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।

একে এম রহমতুল্লার প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে বিদেশী অর্থ সংগ্রহের প্রধান উৎসগুলো হলো- রপ্তানী আয়, প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্স, সেবা খাতে আয়, বিনিয়োগ খাতে আয়, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বৈদেশিক অনুদান এবং বৈদেশিক ঋণ। উক্ত খাত সমুহ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মোট ৬৬ হাজার ৮৪৯. ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে।

তিনি জানান, দেশে বর্তমানে বেসরকারী তফসিলি ব্যাংকের সংখ্যা ৪৯ টি। এর মধ্যে বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৪০ টি এবং বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা ৯টি। এছাড়াও নতুন চারটি ব্যাংকের আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর