সিলেটে উপনির্বাচন: নৌকার এজেন্টরা চাপছে বোতাম
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ।
ভোটগ্রহণের শুরুতেই কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের কম উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশা নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের।
সকাল সাড়ে ৮টায় কাসিম আলী সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় গেলে দেখা যায়, ভোটারদের উপস্থিতি একেবারেই কম। এসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা জমির আলী অভিযোগ করে বলেন, ইভিএম পদ্ধতিতে কম সময়ে ভোট প্রদানের কথা। অথচ ভেতর থেকে বলছে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। তাই অনেক্ক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভোটার জানান, ভোট দিতে গেলে কেন্দ্রের ভেতর থাকা নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা জোর করে নৌকা প্রতীকের বোতামে চাপ দিচ্ছে। এতে করে তারা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারছে না।
গত ১১ মার্চ এ আসনের সরকার দলীয় সাবেক এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর আকস্মিক মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এরপর এক দফা পিছিয়ে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে ইসি।
এবারই প্রথম এ আসনে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ৫২ হাজার। কেন্দ্র ১৪৯টি।
উপ-নির্বাচনে মাঠের লড়াইয়ে আছেন চার প্রার্থী। আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক ছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের বলেন, এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনো বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। ভোট সুষ্ঠু করতে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রতিটি উপজেলায় একজন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া প্রত্যক ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অস্ত্রসহ ১৮ থেকে ১৯ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আছে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে।