‘মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না নির্বাচন কমিশন দিয়ে কি হবে’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-24 04:28:28

ভোটের প্রতি মানুষের অনাগ্রহকে জাতীয় সমস্যা উল্লেখ করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেছেন, সীমানা নির্ধারণ বিল পাস হচ্ছে। আমাদের সর্বপ্রথম যেটা দরকার মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না। এটা সবচেয়ে বড় ন্যাশনাল ক্রাইসিস। ওটাতে আমাদের কাজ করতে হবে।মানুষ যদি ভোট কেন্দ্রে না যায় সীমানা নির্ধারণ করে কি করব? নির্বাচন কমিশন দিয়ে কি করব? বাজেট দিয়ে কি করব?

শনিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) সকালে একাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশনেজাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল-২০২১ এর ওপর জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, আমাদের যেটা দরকার মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না। এটা সবচেয়ে বড় ন্যাশনাল ক্রাইসিস। ওটাতে আমাদের কাজ করতে হবে। আজকে সিলেট নির্বাচন হবে ওটাতে কতজন ভোট কেন্দ্রে যাবে আমি জানি না। মানুষ যদি ভোট কেন্দ্রে না যায় সীমানা নির্ধারণ করে কি করব? নির্বাচন কমিশন দিয়ে কি করব? বাজেট দিয়ে কি করব? সংবিধানে নির্বাচন কশিনকে ক্ষমতা দেওয়া আছে।

তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। একদিন একটি গণতন্ত্র ছিল সেটাও বিলিন হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন ব্যবস্থা যদি ধ্বংস হয়ে যায় তাহলে বিরোধী দল সেভাবে দাঁড়াবে না। সরকারি দল অটোমেটিক্যালি টাইগারের মতো চলবে। তারা টেমস টুক করাপ্ট। অ্যাপসুলিটলি করাপ্ট, সেই টা আমরা চাই না। সেটা যদি তাই হয় তাহলে আমাদের দেশের সংবিধান আস্তে আস্তে হয়ে যাবে ভ্যাকেট সংবিধান।

বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, জনগণের ম্যান্ডেন্ট পাওয়া একটা সরকার ২০১১ সালের আদমশুমারি নিয়ে যে খেলা খেলেছে সেটা দেখলে যে খুব সহজে বোঝা যাবে নির্বাচনের এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আদমশুমারি এখন কতটা ভয়াবহ হতে পারে। এই আদম শুমারির উপর ভিত্তি করে কিভাবে সংসদ নির্বাচনে আসনের সীমানা পুননির্ধারণ হবে।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তথাকথিত নির্বাচনের কথা যখন একটি মাত্র ভোট পড়বার আগে সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠাতার জন্য প্রয়োজনীয় আসনের বেশি জিতে গিয়েছিল ক্ষমতাসীন জোট, এরপর রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে সেই ক্ষমতার মেয়াদ পূর্ণ করা হয়। ভবিষতে মানুষ আর কবে প্রত্যেক্ষ ভোট দিতে পারবে সেটা আল্লাহ মালুম।

তিনি বলেন, সামনে আর একটি নির্বাচন কমিশন গঠন হতে যাচ্ছে। সংবিধানের ১১৮ (১) বলছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার অনধিক ৪ জন নির্বাচন কমিশনার লইয়া বাংলাদেশে একটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে। উক্ত বিষয়ে প্রণিত আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনকে এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশানারকে নিয়োগদান করবে।

খুব সহজে বলতে পারি নির্বাচন কশিন একটি আইন থাকতেই হবে এবং সেই আইনের ভিত্তিতেই কেবল মাত্র নির্বাচন কমিশন গঠন সম্ভব। নির্বাচনের কমিশনের ক্ষেত্রে আর কোনো অপশন রাখা হয়নি। আমরা সীমানা নির্ধারনের কথা শুনি, নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা শুনি ২০১৮ এবং ২০১৪ এর নির্বাচনের পর এই শব্দগুলোর আর প্রাসঙ্গিকতা আছে কি না?

এ সম্পর্কিত আরও খবর