অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত না হলে আগামী ১০ দিনের মধ্যে মাওয়া রুটে পানি প্রবাহ কমে আসতে পারে। এর মধ্যে যদি পদ্মা নদীতে স্রোত নিয়ন্ত্রণে আসে তবে মাওয়া ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাওয়ায় এখনও ফোর নট কারেন্ট (৪ নটিক্যাল মাইল বেগে স্রোত) চলছে, এর নিচে এলে তখন এটা আমরা চালু করব। এখন পানির প্রবাহ বাড়ছে। আজকেও খবর নিয়েছি অতিরিক্ত পানির প্রবাহ আছে।
তিনি বলেন, এ অবস্থায় হয়তো মাওয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ায় অসুবিধা নেই, কিন্তু ফেরাটা খুব সমস্যা। ঝুঁকিটা আমরা নিতে চাচ্ছি না স্রোতের মধ্যে। গত বছর যখন ফেরিগুলো চলেছে তখন স্প্যানগুলো বসানো ছিল না। এখন একটা সুনির্দিষ্ট পকেটের মধ্য দিয়ে ফেরিগুলো চালাতে হয়। কারণ সব স্প্যান বসে গেছে, পদ্মা সেতু অলমোস্ট রেডি আছে বলা যায়। এমন অবস্থায় যখন ঘূর্ণায়নগুলো শুরু হয় তখন কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন হয়ে যায়।
তিনি উল্লেখ করেন, যেহেতু কয়েকটা ঘটনা ঘটে গেছে। এই ঘটনাগুলোর কারণে আমরা যতটুকু তাদের উদাসীনতা ও কর্তব্যে অবহেলা ছিল সেজন্য ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি। কিন্তু তারপরও যেহেতু জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখেছি এবং যেটার ব্যাপারে সবাই তাদের মতামত দিয়েছেন। সেই কারণে বলেছি, এ ঘটনাগুলো ঘটার মধ্য দিয়ে দেশবাসীকে আর আতঙ্কের মধ্যে রাখতে চাই না।
তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু একটি সেনসেটিভ জায়গায় চলে গেছে। দেশের মানুষ এ সেতুকে আপন স্থাপনা মনে করে। কাজেই এই জায়গায় খুব সতর্ক আছি। পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া দিয়ে মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে, কষ্ট হচ্ছে। তারপরও আমরা বলেছি, পানির এই স্রোতটা কমে না যাওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ রাখছি বলেও জানান তিনি।