রূপগঞ্জ ট্র্যাজেডি: আবারও মিলল খুলিসহ কঙ্কাল ও হাড়

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ | 2023-08-27 04:30:58

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের হাসেম ফুড কারখানা (সেজান জুস কারখানা) থেকে আবারও মিলেছে মানুষের শরীরের আরও কিছু পোড়া হাড়, কঙ্কাল ও মাথার খুলি।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) তল্লাশি চালিয়ে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হাড়-কঙ্কালের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ওই ভবনের চারতলা থেকে দুটি মাথার খুলি ও হাড়ের অংশ এবং নারীর মাথার চুল উদ্ধার করেছিল সিআইডি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিআইডির পরিদর্শক আতাউর রহমান বলেন, গত ৮ জুলাই ওই কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে লাবুনি, সাজ্জাত ও মহিউদ্দিন নামে আরও তিন শ্রমিক নিখোঁজের আবেদন পেয়ে সিআইডি তল্লাশি শুরু করে। বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালিয়ে ভবনের চারতলায় মানুষের শরীরের বিভিন্ন অংশের বেশ কিছু হাড়-কঙ্কাল পাওয়া গেছে। মাথার খুলির কিছু অংশও পাওয়া গেছে। এর আগে ঘটনার দুই মাস পর গত ৭ সেপ্টেম্বর পৃথক চারটি স্থানে আরও কিছু দেহাবশেষ পাওয়া যায়। এগুলো পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গত ৮ জুলাই বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাসেম ফুডস লিমিটেড কারখানার ছয়তলার একটি ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসেবে, এতে প্রাণ হারান কারখানার ৫১ জন শ্রমিক-কর্মচারী। এর মধ্যে আগুনে পুড়ে ৪৮ জন ও লাফিয়ে পড়ে ৩ জন মারা যান। ডিএনএ পরীক্ষা শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৪৫ জনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

যদিও নাগরিক সমাজের তদন্ত কমিটির দাবি, ৫৪ জনের প্রাণ গেছে এই ঘটনায়।

ঘটনার পরদিন রাতে এই ঘটনায় রূপগঞ্জের ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। রূপগঞ্জ থানা দায়ের করা ওই মামলার এজাহারনামী আসামি সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম, তার চার ছেলে ও তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারও করা হয়। মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি।

জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থা ও কারখানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর