বিভিন্ন সময় ভাল কাজের প্রলোভনে ভারতে পাচার হওয়া ৩৬ বাংলাদেশি শিশুকে উদ্ধারের পর ফেরত পাঠবে ভারতীয় পুলিশ। ইতোমধ্যে হস্তান্তরের বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশসহ সরকারে বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। এসব নারী, শিশুদের বাড়ি বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়। এদের সকলের বয়স ১২-১৮ বছরের মধ্যে। ২-৩ বছর আগে তারা দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাচারের শিকার হয় বলে সংশিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
আগামী ২০ সেপ্টম্বর দুপুর ১২টায় বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতীয় পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করবে।
পাচার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করা এনজিও সংস্থ্যা জাস্টিস এন্ড কেয়ার এসব নারী, শিশুদের আইনী সহয়তা আর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে গ্রহণ করবে পুলিশের কাছ থেকে৷
জাস্টিস এন্ড কেয়ারের সিনিয়ার প্রগ্রামার অফিসার মুহিত হোসেন জানান, সংসারে অভাব অনটনের সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন সময় ভালো কাজের কথা বলে দালালরা এদের ভারতে পাচার করে। পরে ভালো কাজ না দিয়ে বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করে। পরে ভারতীয় পুলিশ খবর পেয়ে তাদের পাচারকারীদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করে আদালতে পাঠায়। সেখান থেকে তাদের আশ্রয় হয় ভারতীয় এনজিও সংস্থ্যার শেল্টার হোমে। পরে উদ্ধারকৃতরা বাংলাদেশি কিনা তা যাচাই করে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রাভেল পারমিটে এরা ফিরে আসছে। দেশে ফেরার পর এদেরকে আইনী সহয়তা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করবে জাস্টিস এন্ড কেয়ার।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আহসান হাবিব জানান, ইতিমধ্যে তারা চিঠি পেয়েছেন। নারী, শিশুদের বাংলাদেশে হস্তান্তরের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উদ্ধারের তালিকায় থাকা ৩৬ নারী, শিশুরা হলেন- কুমিল্লার সাহান হাওলাদার, খুলনার আনন্দ মন্ডোল, মুস্তাফিজুর রহমান, শিমুল শেখ, আবুল হাসান ও মোস্তফা গাজী; যশোরের আয়শা শেখ, জেসমিন বিবি, রুহুল হোসেন, রাকিব শেখ, শাকিল শেখ ও শাকিব হাসান; গোপালগঞ্জের জোবায়ের সরদার, বাগের হাটের লাবনি আক্তার, রহিমা খান, রাকিব, শাহিল ফারাজি, আবু সালে শেখ, শহিদুল, রাকিব হাওলাদার; মুন্সিগঞ্জের আরিন বাইদা; সাতক্ষীরার মাজেদা খাতুন, সুশান্ত মন্ডোল, হালিমা খাতুন, ঠাকুরগাঁওয়ের নিত্যনন্দ রায়; রাজবাড়ির প্রিয় বালা; সুনামগঞ্জের আমেনা খাতুন; পিরোজপুরের মুক্তা আক্তার; নড়াইলের নিশা আক্তার, আবু বক্কর, বিদি খাতুন; রাজশাহীর রোমী খাতুন, ফরিদপুরের নারগিস খাতুন; বরিশালের জুয়েল সরদার ও কুড়ি গ্রামের শাহজালাল।