ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় একই সময় একই স্থানে ছাত্রলীগ এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠনের ডাকা পৃথক সমাবেশ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়ায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৬টা থেকে রামরাইল ইউনিয়নের সকল স্থানে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস এই ১৪৪ ধারা জারি করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল ৩টায় রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন খেলার মাঠে (উলচাপাড়া) সুধী সমাবেশ ডাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়ন পরিষদ নামে একটি সংগঠন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ও বিশেষ অতিথি হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মিজানুর রহমান ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনের উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে একই সময় ওই স্থানে দলের কর্মী সভা ডাকে রামরাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগ। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকনের।
এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস রামরাইল ইউনিয়নের সকল স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, দুই গ্রুপের একই স্থানে সমাবেশ ডাকা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে রামরাইল ইউনিয়নের সকল স্থানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত এই আদেশ জারি থাকবে।