কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে যশোরের দুই যুবক লাশ হয়ে ফিরল

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর | 2023-09-01 11:05:07

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সিগাল ও নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে যশোরের দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে। সন্তানের আকস্মিক মৃত্যুতে হতবিহ্বল হয়ে পড়েছেন বাবা-মা। তাদের সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নিহতদের পরিবারের।

নিহতরা হলেন- যশোর উপশহরের এ ব্লকের বাসিন্দা কবি কাসেদুজ্জামান সেলিমের ছেলে রাফিদ ঐশিক (২৩) ও শহরের লাল দিঘির এলাকার বাসিন্দা কলেজ শিক্ষক শাহরিয়ার মেহের ইবনে মিজানের ছেলে মেহের ফারাবি অভ্র (২৩)। রাফিদ ঐশিক যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অর্নাস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও অভ্র ঢাকার একটি বেসরকারি ভার্সিটির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

নিহতদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, পরিবারের সবাই শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছেন। সন্তানের আকস্মিক মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না বাবা-মা। তাদের সমবেদনা জানাতে বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীরা।

নিহত রাফিদ ঐশিকের বাবা কাসেদুজ্জামান সেলিম বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর ছয় বন্ধু একসঙ্গে কক্সবাজার বেড়াতে যায়। কিন্তু শুক্রবার দুপুর থেকে তাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না। শনিবার দুপুরের দিকে জানতে পারি শুক্রবার দুপুরে ও বিকেলে সৈকতের সিগাল পয়েন্টে দুই যুবকের মরদেহ ভেসে এসেছে। তাদের মধ্যে একজন আমার ছেলে রাফিদ ঐশিক এবং আরেকজন ঐশিকের বন্ধু অভ্র।

তিনি আরও বলেন, তারা কখন কীভাবে সৈকতে গোসল করতে নেমেছিল এবং তাদের ছয় বন্ধুর মধ্যে দুই বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার তথ্য প্রশাসন ও পরিবারকে বাকি চার বন্ধু কেন জানায়নি? আমি ধারণা করছি- আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় সঠিক তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।

নিহত মেহের ফারাবি অভ্রর ছোট ভাই আবির হোসেন জানান, বড় ভাইয়ের সঙ্গে সর্বশেষ শুক্রবার সকালে আম্মুর কথা হয়েছে। তারপর থেকে ভাইয়ার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। দ্রুত মরদেহ আনার জন্য আমরা কক্সবাজার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি।

এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনীরুল গিয়াস জানান, দুইজনের মরদেহ মিলেছে। তারা কীভাবে সমুদ্রে গেছেন বা আগে কী ঘটেছিল তা তদন্তের স্বার্থে নিহত দুইজনের সঙ্গে থাকা চারজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। রাতেই তারা কক্সবাজার আসবেন। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ দুটি হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় চার বন্ধুকে স্থানীয় পুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর