প্রথম ধাপের ৩৬৪টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাধারণ নির্বাচন আজ সোমবার শেষ হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২টি ইউপিতে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে আজ অনুষ্ঠেয় ইউপিগুলোর মধ্যে ৪৪টিতেই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে আছেন। এর আগের দফায় ভোটগ্রহণ হওয়া ইউপিগুলোর মধ্যে ২৮টিতে একইভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে, ২০১৬ সালের প্রথম ধাপের ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন ৫৪ জন। এ সময় প্রথম ধাপে ৭১২টি ইউপিতে নির্বাচন হয়েছিল। সে তুলনায় এবার চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার হার বেশি।
গত ৩ মার্চ প্রথম ধাপে ৩৭১টি ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী ভোট হওয়ার কথা ছিল গত ১১ এপ্রিল। কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ওই দিনের ভোট স্থগিত করা হয়। পরে গত ২১ জুন ২০৪টি ইউপিতে ভোট হয়। বাকি ১৬৭টি ইউপির মধ্যে আজ ছয় জেলার ২৩ উপজেলার মোট ১৬০টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে। অন্য সাতটির মধ্যে পাঁচটি ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায়, একটিতে মামলার কারণে এবং কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন ইউপিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আপাতত ভোট হচ্ছে না।
রবিবার বিকেলে নির্বাচন ভবনে ইউপি নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেছেন, আমরা যে প্রস্তুতি নিয়েছি, তাতে আশা করতে পারি ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
যে ৭২টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, সেই ইউপিগুলো হচ্ছে- পটুয়াখালীর বাউফলের কালিশূরী ও কালাইয়া, বরিশালের বাকেরগঞ্জের দুধল, উজিরপুরের শোলক, মুলাদীর মুলাদী, গৌরনদীর বাটাজোড়, খানজাপুর, বার্থি, চাদশী, মাহিলারা, নলচিড়া, বানারীপাড়ার বিশারকান্দি, ইলুহার, সালিয়াবাকপুর, বানারীপাড়া ও উদয়কাঠি। পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার তেলিখালী। ঝালকাঠি সদরের কেওড়া, নলছিটির নাচনমহল ও রাজাপুরের গালুয়া। ভোলার বোরহান উদ্দিনের গঙ্গাপুর, চরফ্যাশনের চরমাদ্রাজ, চরকলমি, হাজারীগঞ্জ, এওয়াজপুর ও জাহানপুর। খুলনা দাকোপের লাউডোবা। বাগেরহাটের ফকিরহাটের বেতাগা, পিলজংগ, ফকিরহাট ও নলধা মৌভোগ; মোল্লাহাটের উদয়পুর, চুনখোলা, কোদালিয়া, আটজুড়ি, গাওলা ও কুলিয়া; চিতলমারীর হিজলা, শিবপুর, চরবানিয়ারী ও সন্তোষপুর; কচুয়ার গজালিয়া, গোপালপুর, রাড়ীপাড়া ও বাধাল; রামপালের হুড়কা, মল্লিকের বেড়, বাঁশতলী, রামপাল ও ভোজপাতিয়া; মোংলার চাঁদপাই, বুড়িরডাঙ্গা, চিলা, মিঠাখালী, সোনাইলতলা ও সুন্দরবন; মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া; শরণখোলার খোন্তাকাটা, রায়েন্দা, সাউথখালী, সদরের বারুইপাড়া, বেমরতা, বিষ্ণুপুর, ডেমা, কাড়াপাড়া ও খানপুর। গাজীপুর কালীগঞ্জের তুমুলিয়া, মোক্তারপুর, চট্টগ্রাম সন্দ্বীপের বাউরিয়া, সারিকাইত, মগধরা ও হারামিয়া।
চেয়ারম্যান পদ ছাড়াও সাধারণ সদস্য পদে ৬৮ জন এবং নারীদের জন্য সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে আটজন একইভাবে বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন।