করোনায় আক্রান্ত ৩ শিক্ষক, তবুও ক্লাস চালু রাখার নির্দেশ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী | 2023-08-30 09:31:34

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে স্কুল-কলেজে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে। তবে নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার ভিড়াভিজা গোলনা দ্বিমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় স্কুলটি দুইদিন বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছিল।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্কুলটি পরিদর্শন শেষে জেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশে আগামীকাল থেকে স্কুলে পাঠদান চলমান রাখার নির্দেশ দেন জলঢাকা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক।

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার চঞ্চল কুমার ভৌমিক জানান, গত ২৩ তারিখ একজন শিক্ষক অসুস্থতার কারণে ডা. এর পরামর্শে করোনা টেস্ট করান। তিনি পজিটিভ হলে আরও চারজন সহকর্মী টেস্ট করান। তাদের মধ্যে দুজনের পজিটিভ আসে। পরে ঊর্ধতন কর্মকর্তার সাথে আলোচলা করে ২৫ সেপ্টেম্বর এবং ২৬ সেপ্টেম্বর স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সব শিক্ষকের করোনা টেস্ট করানোর জন্য বলা হয়েছিল এবং তাদের নেগেটিভ আসে। আজ আমরা এসেছি, সবকিছু খোঁজখবর নিলাম। সব দিক বিবেচনা করে জেলা শিক্ষা অফিস এর নির্দেশে আগামীকাল থেকে স্কুলে পাঠদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু এনিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অভিভাবকরা বলছেন- অন্তত ১৪ দিন স্কুল বন্ধ রাখা হোক।

barta24

অভিভাবক রুবিনা বেগম বলেন, ‘স্কুল খোলার দুইদিন পরে তিন শিক্ষকের করোনা হয়েছে। এখন আগামীকাল থেকে নাকি স্কুল আবার খুলছে। আমরা ছেলে-মেয়েকে স্কুলে পাঠাবো না।’

তিনি বলেন, ‘ওই তিন শিক্ষকের করোনা হয়েছে। অন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরও হতে পারে। ১৪ দিন যদি বন্ধ রাখতো, তাহলে আমাদের ভয় থাকতো না।’

স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সাজু ইসলাম বলে, ‘শুনেছি, আগামীকাল স্কুল খুলবে। বাড়িতে বিষয়টি জানানোর পর মা বলেছেন, স্কুলে যাইতে হবে না। ১৪ দিন পরে স্কুলে যেতে বলেছেন।’

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সোনা মনি বলেন, ‘আমাদের তিন শিক্ষকের করোনা ধরা পড়ছে। কিন্তু আগামীকাল নাকি স্কুল খুলবে। আমার বাবা-মা আমাকে স্কুল যাইতে দিবে না বলছে ‘

চিড়া ভিজা গোলনা দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল হাসান জাহেদ নওরুজি বলেন, ‘স্কুলে যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস করাচ্ছিলাম। কিন্তু তিনজন শিক্ষক করোনা পজেটিভ হওয়ায় দুইদিন বন্ধ রাখা হয়। তবে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে আগামীকাল স্কুলে ক্লাস নেওয়া হবে।’

অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অভিভাবকদের বলবো- যদি কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ থাকে, তাদের যেন স্কুলে না পাঠায়। আমরা যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্কুল পরিচালনা করেছি। ভয়ের কিছু নেই।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর