আদালত নির্দেশ দিলে নির্বাচন করতে পারবেন খালেদা জিয়া: রফিকুল

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 19:38:53

উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় নির্বাচন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন কি না, নির্ভর করবে আদালতের ওপর। উচ্চ আদালত নির্দেশ দিলে তিনি নির্বাচন করতে পারবেন।’

জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। এমতাবস্থায় বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না জানতে চাইলে এ মন্তব্য করেন রফিকুল ইসলাম।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, 'এটা আদালতের ওপর পুরোপুরি নির্ভর করবে। শুধু খালেদা জিয়ার কথা বলতেছি না, সবার জন্য বলতেছি, যদি কোনো ব্যক্তি প্রার্থী হতে চান, কোনো দণ্ডে দুই বছরের বেশি দণ্ডিত হয়েছেন পূর্বে, এরকম কোনো লোক একটি নির্দিষ্ট সময় পার না হলে প্রার্থী হতে পারেন না।

‘যারা এখন দণ্ড ভোগ করছেন, তাদের ক্ষেত্রে যদি আপিল না থাকে, আপিলে যদি তাদের নির্বাচনে একেবারে অযোগ্য করার ঘোষণার বিষয়টি নির্দিষ্ট করা না থাকে, তাহলে তারা কিন্তু নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। কিন্তু যদি আপিলে সাজা স্থগিত করা না হয়, তাহলে কিন্তু তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া সম্ভব হবে না।'

তিনি বলেন, 'তারা আবারও আদালতে যেতে পারেন। আদালত বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রার্থিতা বহাল রাখতেও পারেন। আপিল গ্রহণ করা হলো, এটুকু বলেই ছেড়ে দেওয়া হলো। আপিল সম্পর্কে কোনো বক্তব্য বললেন না। সেই ক্ষেত্রে তাদের মতো লোকদের একটা সুযোগ থেকে যাবে। তারা যোগ্য কি যোগ্য না, এটা আদলত নির্ধারণ করে দেবেন।'

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারের মুখপাত্র না, রাষ্ট্রের মুখপাত্র। রাষ্ট্রে সরকার, বিরোধী দল, সবকিছু আছে। আমরা সংবিধানের বাইরে যাবো না।’

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি আইনি কাঠামো না পাই, তাহলে ইভিএম ব্যবহার করার প্রশ্নই আসে না। আইনি কাঠামো পেলে মিনিমাম হলেও ইভিএম ব্যবহার করা হবে।’

নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলার প্রয়োজনে যদি সেনা বাহিনী নির্বাচনে আনতে হয় তাহলে আনবো। এটা প্রতিটি নির্বাচনেই হয়। সেনাবাহিনী স্টাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করে।’

এ সম্পর্কিত আরও খবর