সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন চাওয়ায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কারখানার জেনারেল ম্যানেজারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ।
এর আগে রোববার আশুলিয়ার কাঠগড়া মন্ডলপাড়া এলাকার ফিউচার ক্লথিং লিমিটেড কারখানায় বেতন নিতে গেলে নারী পোশাক শ্রমিককে বেতন না দিয়ে মারধর করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- আশুলিয়ার কাঠগড়া মন্ডলপাড়া এলাকার আলমাস মন্ডলের ছেলে সোহাগ মন্ডল, ওই কারখানার জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম ও সিকিউরিটি ইনচার্জ অমল কুমার ঘোষ।
ভুক্তভোগী পোশাক শ্রমিক সাজো আক্তার সাথী জানান, রোববার রাত ৮টার দিকে সে তার বকেয়া বেতন চাইতে অফিসে যান। এ সময় কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বকেয়া বেতনের কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে মালিক সোহাগ মণ্ডল, জিএম শহিদুল ও সিকিউরিটি ইনচার্জ অমল কুমার ঘোষ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে কারখানা থেকে বের করে দেন।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ জানান, সাথীকে মারধর করার ঘটনার একটি অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি আল-কামরান বলেন, গত ঈদের আগে বকেয়া বেতন চাইলে এই সোহাগ মন্ডল তিনজন শ্রমিককে মারধর করে। তিনজনসহ ৯ জনকে বকেয়া বেতন ছাড়াই বের করে দেয়। এই ৯ জন শ্রমিক মিলে শিল্প পুলিশে অভিযোগ করে কিন্তু কোন বিচার হয় নাই। আবার একজন নারী শ্রমিক বেতন চাইতে গেলে সোহাগ মন্ডলসহ তিনজনে মিলে নারী শ্রমিককে মারধর করে। অতিদ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। কেনও বার বার কারখানা কর্তৃপক্ষ বহিরাগত লোক দিয়ে শ্রমিকদের মারধর করে এর দায়ভার সব কারখানা কর্তৃপক্ষেরই নিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ফিউচার ক্লথিং লিমিটেডের শ্রমিকদের মারধর ও শ্রমিক ছাটাইয়ের প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আগামী শুক্রবার সকাল ১০টায় আশুলিয়া প্রেসক্লাবের সামনে সাভার আশুলিয়া শ্রমিক সংগঠেনের ব্যানারে মানববন্ধন করা হবে।