সংলাপ সরকারের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-26 12:29:14

ঐক্যফ্রন্টের যে সংলাপ সেটা সরকারের সঙ্গে নয়, এ আলোচনা আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এটা পরিষ্কার করে বুঝতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, এ সংলাপ সরকারের সঙ্গে নয় এ সংলাপ আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এ সংলাপ আওয়ামী লীগ সভাপতির সঙ্গে। আলোচনায় আওয়ামী লীগ সভাপতি নেতৃত্ব দেবেন। তারাও চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলাপ করতে। এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।

মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে তার নিজ দফতের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সংলাপে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কতজন থাকবেন এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, তারা কতজন আসেন লিস্টটা দেখি। তারপর আমাদের কারা থাকবেন সেটা আমরা পরে ঠিক করবো। দেখুন, আমরা এদিকে ১৪ দল আমরা একই ভয়েসে কথা বলি। আমরা আমাদের সরকার ও দলের পলিসি যেটা ছিল সেটাই বলেছি। এখানে আমাদের পার্টি প্রধান যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই হবে।

তিনি বলেন, আমাদের পার্টি প্রধান বলেছেন, আমিতো কারো আন্দোলনের মুখে, বা কারো চাপের মুখে সংলাপে বসতে যাচ্ছি না। এটাতো এমন হয়নি দেশে একটি প্রতিবাদের ঝড় বা দেশে একটি আন্দোলনমুখর অবস্থা করছে যে সেই অবস্থায় সরকার নতি স্বীকার করে সংলাপে বসছে, বিষয়টা এমন নয়।

সেতু মন্ত্রী বলেন, বিষয়টা হচ্ছে ড. কামাল হোসেন সাহেব ঐকফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমাদের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন। শেখ হাসিনাও বলেছেন কেউ আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে তার জন্য দরজা খোলা আছে। তাই আলোচনা হবে।

এ বিষয়ে সোমবার (২৯ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় নেত্রী বলেছেন, কেউ যদি আমার সঙ্গে দেখা করতে চান, শেখ হাসিনার দরজাতো কারো জন্য বন্ধ নয়। আমার দরজা খোলা আছে। দেখা করতে চেয়ে যেহেতু চিঠি দিয়েছেন, ফলে আমি দেখা করবো। বিষয়টি এমন। এটা আসলে কারও চাপের কাছে নয়- যোগ করেন ওবায়দুল কাদের।

আলোচনার বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি গণফোরামের মোস্তফা মোহসীন মন্টুর সঙ্গে সোমবার রাতে ফোনে আলাপ করেছি। কিছু পত্রিকা লিখেছে আলোচনার জন্য আমি নাকি দশজনের নাম প্রস্তাব করেছি, এটা সঠিক নয়। আমি এমন কিছু বলিনি, আমি মোস্তফা সাহেবকে বলেছি আপনারা আলোচনায় কতজন আসতে চান। তিনি আমাকে বলেছেন তারা ১৫ জন আসতে চান। আমি বলেছি ১৫ জন কেন, ২০-২৫ জনও আসতে পারেন।

‘আবার কোনো কোনো কাগজে লিখেছে আমি নাকি খাবারের মেনু নিয়ে আলোচনা করেছি। এসব হালকা বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া উচিত গণমাধ্যমের। আলোচনার বিষয়টি একটি সিরিয়াস বিষয়, সেখানে এভাবে হালকা বিষয়গুলো তুলে ধরা ঠিক নয়’- যোগ করেন কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘আজকে আমাদের অফিসে তাদের তালিকা পাঠাবে। কারা কারা আমাদের পার্টি প্রধানের সঙ্গে সংলাপ করতে চান। তবে আমি বলেছি সংখ্যার বিষয়ে আমাদের কোনো বাধা নেই। আপনারা ১৫ জন কেন আসবেন আরও বেশি আসতে পারেন।’

ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আলোচনায় আলোচ্য বিষয় কী হবে সেকথা বলতে গিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান সংশোধনের বিষয় ও লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এবং সভা-সমাবেশে সমান অধিকার নিয়ে তারা আলোচনা করতে চান। সভা-সমাবেশতো করছেনই তারা। কিন্তু যখন সিডিউল ঘোষণা হবে তখন সভা-সমাবেশের সমান অধিকারের বিষয়টি চলে যাবে একেবারেই নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারে। দে উইল ডিসাইড ইট।

তিনি জানান, তাদের আলোচ্য বিষয়ে সংবিধান সংশোধনের বিষয় আছে। দুই একটি বিষয় আছে যা আইন আদালতের বিষয়। আবার দুই একটি বিষয় আছে যা পুরোপুরি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সংলাপ নিয়ে আমরা যা বলেছি, সেটা আমাদের সরকার এবং দলের পলিসি মেটার। তারা তাদের বিষয় নিয়ে হয়তো কথা বলবেন। তাদের সাত দফা দাবী এবং এগারোটি লক্ষ্য নিয়ে তারা আলোচনা করতে চান। তাতে মোস্ট ওয়েলকাম।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে দল এবং সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবী মেনে নেওয়ার বিষয়েতো আমরা বলতে পারি না যে, মেনে নেওয়া হলো। এ বিষয়ে তাদের দাবীর সঙ্গে আমরা একমত হতে পারি বাট ডিসাইড করবে নির্বাচন কমিশন।

কাদের বলেন, আরেকটি বিষয় আছে সেটা হলো- বিদেশি পর্যবেক্ষক। সেটাতো মেনে নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি থাকার কথা নয়। কিন্তু সেটাতো আমরা মেনে নিতে পারি না। সেটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তবে প্রধানমন্ত্রী যখন চেয়েছেন তখন আলাপ আলোচনা খোলামেলা পরিবেশেই হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর