‘এবারও সার্চ কমিটিতেই নির্বাচন কমিশন, আইন হবে পরে’

, জাতীয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-25 00:23:25

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নতুন আইন করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেছেন, সার্চ কমিটি আইন নয়, কিন্তু যেহেতু সকলের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি করেছেন এটা আইনের কাছাকাছি। এবার সার্চ কমিটি দিয়ে হবে তারপর আইন তৈরি হবে।

রোববার (১০ অক্টোবর) দুপুরে ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে মন্ত্রী একথা বলেন। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান এর পরিচালনায় মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনটি করা হচ্ছে না ঠিক না। যদি বলেন আইনটি করা হয় নাই এটা হয়তো সত্য। যে অবস্থা সন্মুখিন হতে হয়েছিল ২০১২ সালে তখন কিন্তু মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলাপ আলোচনা করে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতে তিনি কিন্তু নির্বাচন কমিশন কিভাবে গঠন করা হবে সেই সিদ্ধান্তে পৌছান। এবং যেই সিদ্ধান্তে পৌছান সেটা হচ্ছে একটা সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচনারদের নিয়োগ দেবেন।

যখন রাষ্ট্রপতি এই সিদ্ধান্ত নিলেন তখন ২/৩ বার এই সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। এটা যদিও আইন নয়। যেহেতু রাষ্ট্রপতি গেজেট দ্বারা সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে একটা ঐক্যমতের ভিত্তিতে করেছেন, এটা আইনের সমতুল্য। এটাই চলছে।

আজকে যখন দেখা গেছে এটা নিয়োগ কথা উঠেছে। এখন আইনটা করা প্রয়োজন। কিন্তু এর মধ্যে এই ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে এরকম একটা আইন করা সম্ভব না। তাও বলে দিয়েছি কোর্টের অবস্থা উন্নত হলে করোনা পরিস্থির উন্নতি হলে পুরো সাড়ে ৩০০ সদস্য সংসদে বসতে পারব, বসে এই আলাপ আলোচনা করে আইন পাস করতে পারব। সেই জিনিসটা আমাদের এখন হচ্ছেনা।

তিনি বলেন, আমি বলেছি ১৫ ফেব্রুয়ারি বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষ হলে, এই সময়ের মধ্যে করা সম্ভব নয়। এই বার সার্চ কমিটি যেটা বলছি সেটাই হবে। সার্চ গেজেটেড আইন নয় যেহেতু সকলের মতামতের ভিত্তিতে হয়, রাষ্ট্রপতি এটা করেছেন এটা আইনের কাছাকাছি। এটা এরইমধ্যে এবার হবে তারপর আইন তৈরি হবে।

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির আপত্তি প্রসঙ্গে জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরপেক্ষ নির্বাচন করে এবং করবে। তাদের সেই ব্যাপারে ভিত হবার কোন কারণ নাই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনে তাদেরও তো একজন ছিলেন। রাষ্ট্রপতি যখন নাম চান সকল দলের কাছে আমার জানামতে বর্তমান যে কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে তাতে তাদেরও যার নাম দিয়েছিলেন সেখানে তাদের একজন ছিল। তবে বিএনপিকে বলতে পারি তারা আমার কথায় তারা আশস্থ হবেন কি না? জানি না, কিন্তু বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে বিএনপি’র জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেয়ারটেকার গভমেন্ট নিয়ে এখন আর তর্কের অবকাশ নাই। আমরা সকলই বাংলাদেশের নাগরিক। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের বলতে গর্ববোধ করি। সেই কারনেই বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টে রায় যখন আমরা মানি, তখন আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি। ওনারা (বিএনপি) যদি সেটা মানতে না চান, আমার কিছু বলার নাই। কিন্তু রায় যেটা আদালতে হয়েছে সেই রায়ই ঠিক থাকবে। অন্য কিছু এই বাংলাদেশে হবে না।

সাংবাদিকদের হয়রানির বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী অন্যায়ভাবে কোন সংবাদিক সে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন, কোন সাংবাদিককে অন্যায়ভাবে যদি হয়রানি করা হয় তাহলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং সেই হয়রানি বন্ধ করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তা করা হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর