আ.লীগ-বিএনপি’তে একাধিক, জাপাতে একক প্রার্থী

রাজশাহী, জাতীয়

গনেশ দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-09-01 16:15:49

আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় সরব হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনেও। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে একাধিক প্রার্থী দলের মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন। তবে জাতীয় পার্টি থেকে একক প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে পারেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও দলের জেলা সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ।

জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে এই আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ফ্রিডম পার্টি, জামায়াত ইসলামী, বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে সংসদীয় আসন হিসেবে শিবগঞ্জ-২ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে অন্যকোনো রাজনৈতিক দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ। এর আগে ১৯৯৬-২০০৮ পর্যন্ত এই আসনটি বিএনপির দখলে ছিল। তারও আগে ১৯৯১ সালে এই আসনে বিএনপিকে হারিয়ে জামায়াত প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আরো জানা গেছে, বিএনপি ও আওয়ামী লীগে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সুযোগে এই আসনে জামায়াত বেশ শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে নিয়েছে। গত উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির গ্রুপিংয়ের কারণে জামায়াত প্রার্থী চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সংসদ নির্বাচনেও এই গ্রুপিংয়ের প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন ভোটাররা।

এদিকে, এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন জামায়াত ইসলামীর নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. শাহাদাতুজ্জামান। বিশেষ করে এলাকায় কেউ মারা গেছে জানাজায় উপস্থিত হয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে নিরবে এভাবেই নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে, বিএনপি আসনটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছে। আর আওয়ামী লীগ টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশব্যাপী যেসব উন্নয়ন করেছে তার চিত্র তুলে ধরে প্রার্থীরা নৌকায় ভোট চাচ্ছেন। আর বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির নেতা এরশাদের শাসনামলের এলাকায় উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরছেন।

আগামী নির্বাচনে বগুড়া-২ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হতে চান-  শিল্পপতি আকরাম হোসাইন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ফকির, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাধারণ সম্পাদক ডা. রেজাউল আলম জুয়েল, পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক।

এছাড়া বিএনপির প্রার্থী হতে চান- সাবেক সংসদ সদস্য একেএম হাফিজুর রহমান, জেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মীর শাহে আলম, সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন, এবিএম কামাল সেলিম।

তবে ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না শিবগঞ্জের সন্তান হওয়ায় তার নামও শোনা যাচ্ছে। বিএনপির সাথে ঐক্যফ্রন্টের জোটবদ্ধ নির্বাচন হলে তিনি এই আসনে প্রার্থী হতে পারেন। ১৯৯১ সালে তিনি একবার এই আসনে নির্বাচন করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর