বগুড়ার নন্দীগ্রামে মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ করায় এক পুলিশ কনস্টেবলকে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে। পরে ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করা হলেও পুলিশ কনস্টেবলকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) উপজেলা চেয়ারম্যান আইন শৃঙ্খলা মিটিং-এ আলোচনা করায় ঘটনাটি জানাজানি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) নন্দীগ্রাম উপজেলার কুন্দারহাট বাজারে টুকু মিয়ার হোটেলে বসে ছিলেন কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী। এ সময় সেখানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলার পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা হচ্ছিল। পুলিশ কনস্টেবল হাসান আলী মন্দিরে হামলা প্রতিবাদ করেন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে কথা বলেন।
এ নিয়ে ভাটগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জুলফিকার আলীর ছেলে আহম্মেদ আলী তর্কে জরিয়ে পড়েন। এক পর্যায় কনস্টেবল হাসানকে মারধর শুরু করে আহম্মেদ আলী। পরে হাসান হাইওয়ে থানায় ফোন করলে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় আহম্মেদ আলী পালিয়ে যান। রাতে আহম্মেদ আলীর বাবাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ হাইওয়ে থানায় গিয়ে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা করে ধামাচাপা দেন।
কনস্টেবল হাসান আলী বলেন, হোটেলে কিছু লোকজন সাম্প্রদায়িক আলোচনা করছিল। এছাড়াও তারা পুলিশকে গালিগালাজ করে। এসময় আমি তাদের মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় আমাকে মারধর করেন। পরদিন শনিবার (১৬ অক্টোবর) আমাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় কুন্দারহাট বাজারে তুচ্ছ ঘটনা ঘটেছে। সিভিল পোশাকে থাকায় কনস্টেবল হাসানকে তারা চিনতে পারেনি। হাসানকে প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি বলেন এটা আভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ বলেন সোমবার উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। পুলিশ সদস্যকে মারধরের যেই জড়িত থাক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদেরকে অনুরোধ করেছি।