ইচ্ছে আছে সাধ্য নাই

, জাতীয়

ছাইদুর রহমান নাঈম, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কিশোরগঞ্জ | 2023-08-31 08:27:43

৪০ টাকায় মিলছে লুঙ্গি, ৩০ টাকায় প্যান্ট, কামিজ ও শাড়ি মিলছে ৬০ টাকায়। কাপড়ের প্রকার ভেদে দাম কম বেশি হয়। এছাড়াও বিভিন্ন রকমের জামা কাপড়ের সমাহার হাটে। যে যার পছন্দ মতো পোশাক নিচ্ছেন বেছে বেছে। নারী পুরুষসহ সব বয়সী ক্রেতারা কিনছেন তাদের পছন্দের কাপড়।

বিক্রেতারা নানা ধরনের পুরাতন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। ছোট বাচ্চাদের কাপড়, বোরকা, শাড়ি, কামিজ, থ্রি পিছ, লেহেঙ্গা, পাঞ্জাবী, প্যান্ট, শার্ট, বিছানার চাদরসহ শতাধিক আইটেম রয়েছে।

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কাটিয়াদী পুরাতন বাজারে এই হাট বসে প্রতি বৃহস্পতিবার। সপ্তাহে একদিন জমে উঠে এই হাট।

ছবি: বার্তা২৪.কম

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে সরজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের পুরাতন কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও তাদের পছন্দের কাপড়টি বেছে বেছে কিনছেন। কাপড় পছন্দ হলে তবেই চলে দরদাম। মূলত স্বল্প আয়ের মানুষরাই অধিকাংশ ক্রেতা। পছন্দের কাপড় কিনে খুশি মনে বাড়ি ফিরছেন তারা। কাপড় ভেদে একেকটির দাম হয়।

এ সময় একাধিক বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের।

বিক্রেতা শুভ সরকার (৫৬) ৩০ বছর ধরে এই ব্যবসার সাথে জড়িত। পৈতৃক ব্যবসার ধারাবাহিকতায় তিনিও এটি করে আসছেন। একই উপজেলার সহশ্রম ধুলদিয়া ইউপির গচিহাটা গ্রামে তার বাড়ি।

ছবি: বার্তা২৪.কম

শুভ সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, আগে আরো বেশি বিক্রি করতাম। এখন বিক্রি কম হয়। এখন দিনে তিন চার হাজার টাকার মতো বিক্রি করি। সবকিছু খরচ বাদ দিয়ে আড়াই হাজার টাকা লাভ থাকে। একেকদিন একেক বাজারে যাই।

আরেক ব্যবসায়ী ছালেম আলী বলেন, আমরা ঢাকা থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীদের থেকে কাপড় কিনি। তারাই পরিস্কার করে আইরন দিয়ে দেয়। গ্রামের খেটে খাওয়া কম রোজগারের মানুষ আমাদের থেকে বেশি জামা কাপড় কিনে।

ক্রেতা জসিম মিয়া, আবু তালেব, জামিলা খাতুন, হোসনে আরা বলেন, এখানে কম টাকায় ভালো জিনিস পাই। ইচ্ছে আছে সাধ্য নাই। দোকানে তো অনেক দাম রাহে। মনে ইচ্ছে থাকলেও মার্কেট থেকে জামা কাপড় কিনার সাধ্য নাই। তাই এখান থেকে অল্প টাকার মধ্যে পছন্দের কাপড়টি কিনে নিলাম।

এ সম্পর্কিত আরও খবর