মুহিবুল্লাহ হত্যা: ২ মিনিটের কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিলেন ১৯ জন

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার | 2023-08-25 16:00:22

রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যার কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিলেন ১৯ জন। আর মুহিবুল্লাহকে হত্যা করতে তারা সময় নিয়েছেন মাত্র দুই মিনিট।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে উখিয়ায় মুহিবুল্লাহর হত্যার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল হককে গ্রেফতারের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

তিনি বলেন, মুহিবুল্লাহকে হত্যা করতে ‘কিলিং স্কোয়াডে’ ছিল পাঁচ অস্ত্রধারী। মাত্র দুই মিনিটের মধ্যে তারা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে। আর এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল মোট ১৯ জন।

এপিবিএন জানিয়েছে, আজিজুল হক ছাড়াও কুতুপালং ক্যাম্প-১-এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসপি নাঈমুল হক বলেন, মুহিবুল্লাহ কিলিং মিশনে সরাসারি অংশ নেওয়া আজিজুল হক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন- মুহিবুল্লার হত্যার দুই দিন আগে লাম্বাশিয়া মরকজ পাহাড়ে কিলিং মিশনের জন্য একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে জানানো হয়, তথাকথিত দুর্বৃত্তদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মহিবুল্লাহকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছে। ওই বৈঠকেই কিলিং মিশন শেষ করার জন্য মোট ১৯ জনের একটি দল গঠন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে পাঁচ জনকে অস্ত্র নিয়ে সরাসরি মুহিবুল্লাহর ওপর হামলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেওয়া আজিজুল ছাড়াও বাকি চারজন ওই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশের এই কর্মকর্তা ব্রিফিংয়ে বলেন, অস্ত্রধারীদের প্রথম জন মুহিবুল্লাহকে একটি গুলি করে। পরের জন আরও দুইটি গুলি করে। সব মিলিয়ে চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। গুলি চালানো শেষ হলে কিলিং স্কোয়াডের পাঁচ সদস্য মুহিবুল্লার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এপিবিএন বলছে, মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছিলেন। এতে তিনি রোহিঙ্গাদের বড় নেতা হয়ে উঠছিলেন বলে মনে করছেন এই হত্যার মাস্টারমাইন্ডরা। আর সে কারণেই তারা মুহিবুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন মুহিবুল্লাহ (৪৮)। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। পরের দিন ৩০ সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর