রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। সংলাপে যারা যাচ্ছেন অধিকাংশই আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন। তাই সংলাপে ঘরের লোকদের ঘরে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ড. কামাল হোসেন চিঠি দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংলাপের সিদ্ধান্ত নেন। তারা তাদের চিঠিতে সাত দফা ও ১১ লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করতে চেয়েছে। আমরা জানিয়েছি সংবিধান অনুযায়ী আলোচনা হবে। সুতরাং সব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সিদ্ধান্ত হবে সংবিধান অনুযায়ী।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ সুনির্দিষ্ট। একটি অবাধ, অংশগ্রহণমূলক, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করা আমাদের সকলের লক্ষ্য। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট। আলোচনা যাই হোক, আমরা সবাই নির্বাচনে অংশ নেবো এই সরকারের অধীনে এবং নির্বাচন কমিশনের তত্বাবধানে। এখানে সমস্যার কিছু দেখি না।
খালেদা জিয়া ও সকল রাজনৈতিক বিবেচনায় বন্দিদের মুক্তির দাবির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭৫ সালের পর আমরা অনেকেই বন্দি ছিলাম, আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিলো না। বঙ্গবন্ধুও বন্দি ছিলেন, যেটা মানুষ গণঅভ্যুথান করে তাকে মুক্ত করেছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়াসহ অন্য যারা আছে তারা সুনির্দিষ্ট অভিযোগে বন্দি আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা থাকে তারা তো রাজনবন্দি নয়।
সংলাপ যেন আসন ভাগাভাগির না হয় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমের এমন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তোফায়েল আহমেদ বলেন, কমিউনিস্ট পার্টি যখন আমাদের সঙ্গে ছিলেন, একসঙ্গে আমরা তিন জোট মিলে রুপরেখা করেছিলাম। তখন বিএনপির সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তখন দুই নেত্রী ১৫০টি করে সিটে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই দিন নাই। সংলাপে বসে আসন ভাগাভাগি হবে সেলিম কিভাবে সেই স্বপ্ন দেখলেন আমার জানা নেই।