বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না: খাদ্যমন্ত্রী

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নারায়ণগঞ্জ | 2023-08-31 18:42:16

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। এটা শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না।

রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার নবীগঞ্জ এলাকায় সিএসডি ক্যাম্পাসে খাদ্য অধিদফতরের বাস্তবায়নে স্টিল রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একটি দল বলেছিল করোনায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে ২ লাখ লোক না খেয়ে মারা যাবে। আমি খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, একটি লোকও না খেয়ে মারা যায়নি। এটা শেখ হাসিনার অবদান। বাংলাদেশে না খেয়ে কেউ মারা যাবে না। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ। ক্ষুধা ইতিমধ্যে নিরুদ্দেশ হয়েছে। আমরা এখন পুষ্টিতে আছি এবং নিরাপদ খাদ্যে আছি।

তিনি বলেন, ক্ষুধা মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের খাদ্যের মজুত বাড়াতে হবে। আর এ মুজদ বাড়ানোর জন্যই আমাদের এ সাইলোগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। এ সাইলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পায় এজন্য কৃষকরা ভেজা ধান নিয়ে এলে শুকানোর মেশিনের মাধ্যমে এক ঘণ্টায় শুকিয়ে বিক্রি করতে পারে সেজন্য ২০০টি পেডি সাইলো করার প্রকল্প আছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নারায়ণগঞ্জের সাইলোর ব্যয় হবে ৩২০ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪০ টাকা। ১৭ একর জায়গায় নির্মাণাধীন স্টিল রাইস সাইলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আর্দ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে দুই থেকে ৩ বছর পর্যন্ত ৪৮ হাজার মেট্রিক টন চালসহ খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যাবে। এটি প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখযোগ্য প্রকল্প। এ প্রকল্প একটি নয় ৮টি হচ্ছে। এর মধ্যে একটি ময়মনসিংহে, মধুপুরে ও আশুগঞ্জে। এগুলোর কাজ প্রায় ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আমরা খুব শিগগির এগুলো চালু করব। বরিশালে কাজ শুরু হয়েছে, নারায়ণগঞ্জে আজকে শুরু করেছি। আর বাকি খুলনা, নওগাঁ এবং চট্টগ্রাম কাজ শুরু হবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা রাজনৈতিক নেতারা, শিক্ষকরা, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা, সরকারি চাকরিজীবীরা নিজের জায়গা থেকে সবাই মিলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে যদি কাজ করি তবে সুখী সমৃদ্ধশালী দেশ হতে ২০৪১ সাল নয় ২০৩১ সালের মধ্যেই সম্ভব বলে আমি মনে করি। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা সবাই যেন মানসম্মত, ভেজালবিহীন স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য খেতে পারি সেই দিকে আমাদের সচেতন হতে হবে। আমরা যেন খাদ্যে ভেজাল দিতে না দেই, পঁচাবাসী খাবার যেন কেউ বিক্রি করতে না পারে, আমরা নিরাপদ খাদ্য আইন তৈরি করেছি। জেলায় জেলায় অফিস হয়েছে। এর কার্যক্রমও চলছে। ডিসি, সাংবাদিকসহ সবাই এ দিকে নজর রাখবেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর