‘নির্বাচনে সহিংসতার পিছনে রয়েছে আধিপত্য বিস্তার ও রাজনৈতিক কোন্দল’

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-27 18:03:57

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার পিছনে আধিপত্য বিস্তার, বংশীয় প্রভাব, ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনৈতিক কোন্দল রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে ইউপি নির্বাচন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে কয়েকটি স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তার কোনোটাই প্রত্যাশিত ও কাম্য নয়। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি মৃত্যুও স্বাভাবিক নয়। ঘটনাগুলোর ওপর বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, এর পেছনে ছিল নির্বাচন সামনে রেখে আধিপত্য বিস্তার, বংশীয় প্রভাব, ব্যক্তিগত শত্রুতা ও রাজনৈতিক কোন্দল।

তিনি বলেন, এসব ঘটনা নিয়ে ইতোমধ্যেই আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বলেছি। নির্বাচনী এলাকায় যারা দেশি অস্ত্র নিয়ে সহিংসতা করে, তাদের রোধ করতে কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে ১০০ ভাগ পাওয়ার প্রয়োগ করতে পারছি। কিন্তু যারা মারামারি করছে সেটা আসলে তাদের বিষয়। তবে আমরা পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশনা দিয়েছি, কেউ যদি নির্বাচনের সময় কোনো সহিংসতা করে, তাহলে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ইতোমধ্যে দুই ধাপের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আরও দুই ধাপের নির্বাচনী কার্যক্রম চলছে। এরপর একাধিক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো নির্বাচন সঠিকভাবে সম্পন্ন করার জন্য মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই সুযোগে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী সব প্রার্থী, তাদের সমর্থক, সামাজিক নেতৃবৃন্দ এবং সর্বোপরি সব রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন সবাই আচরণবিধি মেনে চলেন, সহনশীল আচরণ করেন। এসব ব্যাপারে নির্বাচনী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতা কামনা করছি।

গত রোববার ইউপি নির্বাচন নিয়ে জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছিলেন, প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন এখন আইসিইউতে থাকার মতো অবস্থায়। আর এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে গণতন্ত্র লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, কমিশনের প্রত্যেক সদস্যের উচিত নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সহোযোগিতা করা। কিন্তু সেই জায়গায় বসে এমন সব মন্তব্য কাম্য নয়। তাছাড়া তিনি এমন সব কথা মাঝে মধ্যে বলেই থাকেন। তার অনুপস্থিতিতে সে বিষয়ে কথা বলতে চাই না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন, ইসি সচিব মো হুমায়ুন কবীর খোন্দকার, ইসির যুগ্ম-সচিব ও পরিচালক এম এম আসাদুজ্জামান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর