লক্ষ্মীপুরে ফার্মেসিতে চিকিৎসা নিতে এসে এক গৃহবধূ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অভিযুক্ত শাহজালাল লিটন সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক।
এ ঘটনায় রোববার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা এবং অভিযুক্তকেও আটক করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে লিটনের লোকজন। এ নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছেন।
তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি কেউ তাদেরকে জানায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই ভুক্তভোগী তিন সন্তানের মা জানান, যুবদল নেতা শাহজালাল মজুচৌধুরীর হাটের ঝর্ণা ফার্মেসির মালিক। তিনি এলাকায় গ্রাম্য চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। চিকিৎসার জন্য ওই ভুক্তভোগী নারী গত বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে শাহজালালের ফার্মেসিতে যান। এ সময় ফার্মেসির পেছনের কক্ষের দরজা বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করা হয়। বের হয়ে তিনি স্থানীয় ব্যবসায়ী কাজল হোসেনকে বিষয়টি জানালে মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বাড়াবাড়ি করলে পরিণাম খারাপ হবে বলেও তাকে হুমকি দেয় শাহজালাল।
তিনি বলেন, 'আমার স্বামীর নাম সিরাজুল্লাহ। তিনি একজন দিনমজুর।'
গৃহবধূর বৃদ্ধ মা বলেন, ‘স্থানীয় মেম্বার ও কয়েকজন মাতব্বরকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কোনো সমাধান পাইনি। মামলা করার মতো আমাদের সামর্থ নেই। এখন শাহজালাল ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন ভাবে আমাদেরকে হুমকি দিচ্ছে। আমরা চরম আতঙ্কে আছি।’
চররমনী মোহন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। ক্ষতিগ্রস্ত নারীকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুবদল নেতা শাহজালাল লিটন বলেন, ‘আমি অপরাজনীতির শিকার। সরকার দলীয় কয়েক ব্যক্তি ওই নারীকে দিয়ে আমার সম্মানহানি করতে ঘটনাটি সাজিয়েছে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রশিদুল হাসান লিংকন বলেন, ‘এমন একটি ঘটনা শুনেছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোসলেহ উদ্দিন জানান, ঘটনাটি কেউ পুলিশকে জানায়নি। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।