বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়ার কিছু হলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুকুমের আসামি হবেন।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতাল মিলনায়তনে ‘খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তি ও সুচিকিৎসা’ বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ রাজনৈতিক এবং নাগরিক সমাজের নেতারা। সেখানে তারা প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা গতকাল বিকালে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। যা দেখেছি সাম্প্রতিককালে এমন মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের নজরে আসেনি। খালেদা জিয়া কতক্ষণ, কয় মিনিট, কয় দিন বাঁচবেন সেটা আমি বলতে পারবো না। তবে এটা বলতে পারি খালেদা জিয়া চরম ক্রান্তিকালে আছেন। আজকে তাকে হত্যা করা হচ্ছে। এই হত্যার জন্য আইনমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীও হুকুমের আসামি হবেন।
আইনমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর কোনও বাড়াবাড়ি কইরেন না। একজন মৃত্যুপথযাত্রীর জীবনটা রক্ষা করেন। এখন আর কোনও ভানুমতির খেলা দেখাইয়েন না। অনুগ্রহ করে আজকেই বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠিয়ে দেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী অভিযোগ করেন, ৪ জন বিচারপতি প্রধান বিচারপতি হওয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। তাই তারা খালেদা জিয়ার ব্যাপারে মুখ খুলছেন না। এ সময় হাসপাতালে গিয়ে খালেদা জিয়াকে দেখে আসার জন্য বিচারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অভিযোগ করেন, প্রতিহিংসার পথে হেঁটে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। বর্তমান সরকার রাজনীতি এবং জনগণের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন সাইফুল হক।
অনুষ্ঠানে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে খালেদা জিয়াকে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে সরকার। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। খালেদা জিয়ার দ্রুত জামিনের ব্যবস্থা করতে আদালত ও সরকারের কাছে দাবি জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক।