বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্য বৈঠক অনুষ্ঠিত

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর) | 2023-09-01 05:20:03

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য গতিশীল করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে কাস্টমস, বন্দর, বিজিবি, পুলিশ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সমন্বয়ে বাণিজ্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে বেনাপোল বন্দর অডিটোরিয়ামে এ বাণিজ্য বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বৈঠক অংশ গ্রহণকারীরা বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দর সীমান্ত পরিদর্শন করেন।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বাণিজ্যকে গতিশীল করতে সমস্যার সমাধান ও সম্ভবনা নিয়ে অংশগ্রহণকারীরা বক্তব্য রাখেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জয়েন্ট কমিশনার আব্দুর রশিদ, বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল, উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সঞ্জয় বাড়ৈ, বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী ইমদাদুল হক লতা, সহসভাপতি পলাশ উদ্দীন শিমুল, বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক, ইমিগ্রেশন ওসি মোহাম্মদ রাজু, সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল হোসেন, বেনাপোল ট্যান্সপোর্ট মালিক সমিতির সেক্রেটারী আজিম উদ্দীন গাজী, বিজিবির বেনাপোল চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের সুবেদার মাহাবুব হোসেন ও বেনাপোল বন্দর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজু আহম্মেদ প্রমুখ।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী সদস্য আমিনুল হক বলেন, ১০ বছর আগে যখন বন্দরের অনুন্নত অবকাঠামো ছিল। তখন দিনে ৫ থেকে ৬ শ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি হয়েছে। কিন্তু এখন পেট্রাপোল-বেনাপোল বন্দর অনেকটা উন্নত হলেও নানান প্রতিবন্ধকতা ও অব্যবস্থাপনায় বাণিজ্যে ধীরগতিতে আমদানির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে দিনে সাড়ে ৩ শ ট্রাকে। অনেক ব্যবসায়ী লোকসানে পড়ে বেনাপোল বন্দর ছেড়ে অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছেন। ফলে আমদানি কমায় এ বন্দর থেকে সরকার বড় অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাণিজ্য গতিশীল করতে সবার সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে বাণিজ্যে আবারও গতি ফিরবে।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক (ট্রাফিক) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (উপসচিব) জানান, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে আগ্রহ বেশি ব্যবসায়ীদের। তবে নানান সমস্যায় বাণিজ্য সম্পসারণ অনেকটা ব্যাহত হয়ে আসছিল। বাণিজ্য গতিশীল ও বৃদ্ধি করতে বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন, কাস্টমস, সীমান্তরক্ষী বিজিবির সাথে সভা করা হয়েছে। তারা নানান বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এসব বাস্তবায়ন করতে খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছেও ইতিমধ্যে সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে। বাণিজ্যে গতি ফিরলে ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবেন তেমনি সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর