কক্ষ দখল করে জাল ভোট, ম্যাজিস্ট্রেটের হানা

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম | 2023-08-31 14:26:39

৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নে কাজলদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে কক্ষ দখল করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঐ ইউনিয়নের নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহ্ আলম মিয়ার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

পরে খবর পেয়ে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুর রহমান মিলন গিয়ে ঘটনার প্রমাণ পেয়ে সেই ভোট গুলোকে বাতিলের নির্দেশ দেন। ঐ কক্ষে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রটির প্রিজাইডিং কর্মকর্তা অজয় রায়।

রোববার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৩ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এসময় জাল ভোট দিতে বাধা দেয়ায় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটার এজেন্টের উপর আক্রমণ করে তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এব্যাপারে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এজেন্ট শাহজাহান আলী বলেন,‘আমি ৩নং কক্ষের দ্বায়িত্বে ছিলাম। দুপুর ৩টার দিকে ৮ থেকে ৯জন যুবক এসে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জোর করে সিল মেরে ব্যালট গুলো বাক্সে রাখে । আমি বাধা দিতে গেলে আমার গলার মাফলার দিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে এবং বাইরে বের করে দেয়।এরপর প্রশাসনের লোকজন চলে আসায় তারা কক্ষ ত্যাগ করে পালিয়ে যায় ।’

ঘটনার পরপরই কেন্দ্রটির ৩নং কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষটির দুটি বুথের জন্য বরাদ্দ দুটি চেয়ারম্যান প্রতিকের ব্যালটের বইয়ের একটিতে ৭৩ টি ব্যালট পেপার এবং অপরটিতে ৪৮ টি ব্যালট পেপার সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সাক্ষর,সীল এবং টিপসই ছাড়াই ছিড়ে ফেলা হয়েছে। এই ব্যালট পেপার গুলোতে নৌকা প্রতিকে ছিল মেরে ব্যালট বাক্সে ভরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন কক্ষটির দ্বায়িত্বে থাকা ভোটার এজেন্ট শাহজাহান আলী।

এ বিষয়ে কেন্দ্রটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার অজয় রায় বলেন,‘আমরা খবর পেয়ে কক্ষে গিয়েছি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে’।

এ ব্যাপারে দায়িত্বরত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাসিবুর রহমান মিলন বলেন,যেগুলো ব্যালট পেপারে জাল ভোট দেয়া হয়েছে,সেগুলোতে স্বাক্ষর ও সীল না থাকায় শনাক্ত করে ভোটগুলো বাতিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । অভিযোগকারী ব্যক্তি কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর অভিযোগ না আনায় কাউকে আইনের আওতায় আনা যায়নি। পরবর্তীতে যাতে এমন পরিস্থিতি না ঘটে এব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে নৌকা প্রতিকে নির্বাচন করা প্রার্থী মো. শাহ্ আলম মিয়ার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মন্তব্য নেয়া যায়নি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর