ক্যামেরার ক্লিকেই চলে এদের সংসার!

, জাতীয়

সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী | 2023-09-01 19:03:59

সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার থেকে: শখের বশে ছবি তোলা শুরু করলেও সেই শখ এখন পেশায় রূপ নিয়েছে। প্রতিদিন পর্যটকদের ছবি তুলে যে আয় হয় সেই অর্থ দিয়েই চলে প্রায় পাঁচ শতাধিক বেকার ফটোগ্রাফারদের সংসার। ভোর থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে এদের ক্যামেরার ক্লিক। ক্যামেরার প্রতিটি ক্লিকেই উপার্জন হয় অর্থ।

বলছিলাম পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের পর্যটকদের ছবি তুলে দেওয়া ফটোগ্রাফারদের কথা। অনেক ফটোগ্রাফার কোন কর্ম না পেয়ে এ কাজ করছেন। আবার অনেক ফটোগ্রাফার শখ করে ছবি তুলতে এসে খুঁজে পান সংসার চালানোর চাবি।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে কক্সবাজারের লাবণী বিচে গিয়ে দেখা মেলে প্রায় শতাধিক ফটোগ্রাফারের। বার্তা২৪.কমের সাথে কথা হয় তাদের। তারা জানান- পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা স্মৃতিময় করে রাখতে আমরা তাদের ছবি তুলে দেই। ছবি তোলার বিনিময়ে আমরা খুবই সামান্য পরিমাণ অর্থ তাদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক হিসেবে নেই। এতে পর্যটকদের তেমন কোনও অভিযোগ নেই। বরং তারা ছবি পেয়ে খুবই খুশি হন।

পর্যটকদের ছবি তুলে দিচ্ছেন ফটোগ্রাফার

ফটোগ্রাফার মহিউদ্দিনের বাড়ি কক্সবাজারের পশ্চিম কিশোয়াতে। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমার শখ ছিল ছবি তোলার। প্রায় ১০ বছর ধরে এখানে ছবি তুলছি। ছবি তোলার সাথে সাথে আমরা পর্যটকদের ছবি দিয়ে থাকি। এর বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে প্রতি ছবি ৫ টাকা করে নেই। প্রতিদিন প্রায় এক হাজার থেকে ১২ শ টাকা পর্যন্ত আয় হয়। এই টাকা দিয়েই চলে আমাদের সংসার। এই কাজে কক্সবাজারের প্রায় পাঁচ শতাধিক লোক রয়েছে।

মহিউদ্দিনের মতো আরও অনেক ফটোগ্রাফার এই প্রতিবেদককে বলেন, পর্যটকদের ছবি তুলে দেওয়ায় এখন আমাদের কর্ম। অনেকেই এসেছিলেন শখের বশে। এখন সেই শখ থেকে অর্থ রোজগারের মাধ্যম হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে পর্যটক আসা নিষেধ থাকায় তখন আমরা চরম মানবেতর জীবন-যাপন করেছি। এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। যার কারণে আয় ভালো হচ্ছে। আমরা পর্যটকদের খুশি করেই টাকা নেই। কেউ কষ্ট পায় না। তবে অনেক পর্যটক আছে যারা খুবই ঝামেলা করে।

ক্যামেরার ক্লিকেই চলে এদের সংসার

চুয়াডাঙ্গা থেকে আসা পর্যটক মেহেদী হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এখানে এসে যদি ছবিই তুলতে না পারি তাহলে কেমন হলো। এখানকার ফটোগ্রাফাররা খুবই সুন্দর ছবি তুলে দেন। তবে একই ছবি একাধিক তোলার কারণে ছবির সংখ্যা বেড়ে যায়। যার কারণে পর্যটকদের অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। তবে সিস্টেমটা ভালো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর