লক্ষ্মীপুরে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যুবলীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন একজন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও স্বতন্ত্র ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী। এ সময় তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে ওই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাতে সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের ওয়াপদা অফিস নামক স্থানে ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাসেলের হাতে লাঞ্ছিত হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম মাষ্টার।
এ ঘটনায় রাতেই সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। এছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই আওয়ামী লীগের সাবেক নেতারা এবং ওই ইউনিয়ন পরিষদের ৫ জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এক হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল খালেক বাদলকে এবং যুবলীগ নেতা রাসেল খালেকের সমর্থক।
স্থানীয় লোকজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থীতা পেয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম মাষ্টার। দল থেকে নৌকা প্রতীক না পেয়ে তিনি বিদ্রোহী হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন।
শুক্রবার রাতে তিনি ইউনিয়নের ওয়াপদা অফিস সংলগ্ন এলাকায় লোকজনের সাথে কুশল বিনিময় করছিলেন। এ সময় যুবলীগ নেতা রাসেল দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে হালিম মাষ্টারকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হুমকি দেন। এক পর্যায়ে জনসম্মুখে তাকে লাঞ্ছিত করেন এবং মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতেই স্থানীয় পিয়ারাপুর বিদ্যালয় মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন ইউনিয়নের সকল স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
সমাবেশে অংশ নিয়েছেন হুমকির শিকার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম মাস্টার, ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান ডালি, মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, সাবেক সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল হাসান রনি। এ সময় তারা প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যার হুমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাসেল বলেন, হালিম মাষ্টার নৌকার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছে। টাকার বিনিময়ে নাকি নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। তাই তাকে এসব কথা না বলতে নিষেধ করি। লাঞ্ছিত বা মেরে ফেলার হুমকি সঠিক নয়। এদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দীন বলেন, হুমকির বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।