ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে মোংলা বন্দরসহ সংলগ্ন উপকূল জুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) ভোরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে, যা থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। ঝড়ের প্রভাবে মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে দুপুরের জোয়ারে স্বাভাবিকের তুলনায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ঝড়ের আশঙ্কায় ভয়ে ও চিন্তায় রয়েছে নদীর পাড়ের পরিবার ও নদীতে জীবিকা নির্বাহকারী মানুষগুলো।
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এখন মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় ৮৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন। ঝড়ের পরিস্থিতি বুঝে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, আমরা বাংলাদেশ, ভারত ও ইউএসএ'র আবহাওয়া বুলেটিন পর্যবেক্ষণ করছি। যদিও এটি আমাদের দিকে আঘাতহানার খুব বেশি সম্ভাবনা নেই। তারপরও আমরা প্রস্তুত আছি। বন্দরের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক। মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজ আসা-যাওয়া, পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহন স্বাভাবিকভাবেই চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই আমরা সভা করে প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝড়ের পরিস্থিতি বুঝে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।