কারাবন্দি শীর্ষ জঙ্গিদের মুক্ত করতেই নাশকতার প্রস্তুতি

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর | 2023-08-31 07:17:08

কারাগারে থাকা জেএমবির শীর্ষ জঙ্গিদের আদালতে নিয়ে যাওয়া-আসার পথে নাশকতা চালিয়ে মুক্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল নীলফামারীর মাঝাপাড়া থেকে গ্রেফতার হওয়া পাঁচ জঙ্গি। এ জন্য তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েবপেজ থেকে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ নিয়ে আইইডি তৈরি করছিলেন। শুধু তাই নয়, এসব কাজে সহযোগিতার জন্য রংপুর অঞ্চলের ২০-২৫ জনকে তাদের দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এদের মধ্যে কয়েকজন অটোচালক ও টেইলার রয়েছেন বলে র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকালে রংপুর র‍্যাব-১৩ এর সদর দফতরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের মিডিয়া ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত জঙ্গিরা জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। সামরিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে তারা নাশকতার পরিকল্পনা করেছিল। তারা ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবপেজ দেখে কিভাবে বোমা তৈরি করতে হয় সে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছিল। দুই মাস আগেও জঙ্গি আহিদুলের বাড়িতে আইইডি তৈরি করা হয়। কিন্তু বোমা তৈরির সময় গভীর রাতে বিস্ফোরিত হয়ে আহিদুলের বাড়িতে আগুন ধরে যায়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ঘটনাস্থল থেকে বোমা তৈরির সরঞ্জাম, রাসায়নিক দ্রব্য, একটি পিস্তল, একিট ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদিসহ একটি শক্তিশালী আইইডি জব্দ করা হয়। পরে আইইডি নিস্ক্রয় করে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম। অনলাইনে তাদের আমিরের নির্দেশনায় এ পর্যন্ত রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণির ২০ থেকে ২৫ জনকে জঙ্গি সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

গ্রেফতারকৃরা হলেন- জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান ও সদর উপজেলার উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে আহিদুল ইসলাম আহিদ ওরফে পলাশ, নীলফামারী সদর উপজেলার পশ্চিম কুচিয়া মোড় পাঠান পাড়া গ্রামের ওয়াজুদ্দীনের ছেলে ওয়াহেদ আলী ওরফে আব্দুর রহমান (৩০), দক্ষিণ বালাপাড়া গ্রামের তছলিম উদ্দিনের ছেলে পল্লিচিকিসক আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা (২৬), উত্তর মুশরত কুখাপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে যোবায়ের (২৭) ও সোনারাই কাচারীপাড়া গ্রামের রজব আলীর ছেলে নুর আমিন সবুজ (২৮)।

র‌্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জঙ্গি দমনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে র‌্যাব। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের দুই হাজার ৬৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হলি আর্টিজান হামলার পরবর্তীতে এক হাজার ৪৯৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে ৮১৬ জন জেএমবির সদস্য। এ ছাড়া জঙ্গি আত্মসমর্পণ ও পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয় র‌্যাব। এর মাধ্যমে ইতিমধ্যে ১৬ জন শীর্ষ জঙ্গি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর