মার্চের শেষে উৎপাদনে যাবে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে

, জাতীয়

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মোংলা (বাগেরহাট) | 2023-08-31 22:31:05

খুব শিগগিরই রামপাল পাওয়ার প্লান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদানে যাবে। আমরা আশা করছি, ২০২২ সালের মার্চের শেষেই এটি সম্ভব হবে।

শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে প্লান্টটির কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে এমনই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মো. হাবিবুর রহমান।

এ সময় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী কাজী আবসার উদ্দিন আহমেদ, বিদ্যুৎ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোহসিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোডের্র চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, পিজিসিবি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া ও বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেনসহ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রকল্প মূল্যায়ন সভায় অংশ নেন সচিব মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় প্লান্ট চত্বরে একটি বকুল গাছের চারা রোপণ করেন বিদ্যুৎ সচিব।

এছাড়া বিকেলে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের পক্ষ থেকে স্থানীয় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন তিনি।

মূল্যায়ন সভা শেষে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও রামপাল পাওয়ার প্লান্টের নির্মাণ কাজ থেমে থাকেনি। দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প হিসেবে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের সার্বিক কর্মকাণ্ড এগিয়ে চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিতের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার জন্য কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

রামপাল উপজেলার রাজনগর ও গৌরম্ভা ইউনিয়নের সাপমারী-কৈগর্দ্দাশকাঠি মৌজায় বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের কাজ করছে। ১৮৩৪ একর জমির ওপর এই প্রকল্পটি নির্মাণ হচ্ছে।

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, ডিসেম্বরেই আমাদের উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবে ভারত থেকে নির্মাণ শ্রমিক আনা-নেওয়ায় জটিলতাসহ সমসাময়িক নানা প্রতিকূলতার কারণেই উৎপাদনে যাওয়া টার্গেট বিলম্ব হচ্ছে। তবে এখন আশা করছি আগামী মার্চ মাসের শেষের দিকে উৎপাদনে যেতে পারবো।

এ সম্পর্কিত আরও খবর