বাংলাদেশ-ভারত একই দৃষ্টিভঙ্গি আগামী কয়েক দশক ধারণ করবে

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-22 03:48:52

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ-ভারত একই দৃষ্টিভঙ্গি আগামী কয়েক দশক ধারণ করবে। আমি আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণও এ ধারণাকে বাস্তবে পরিণত করবে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি ও মৈত্রী দিবস উপলক্ষে রেকর্ডকৃত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করছে। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের যাত্রায় একটি মাইলফলক। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

এ বছর ২৬-২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের সময়, আমরা ৬ ডিসেম্বরকে ঢাকা ও নয়াদিল্লিসহ ১৮টি নির্বাচিত শহরে যৌথ উদযাপনের বিষয়ে সম্মত হয়েছিলাম মৈত্রী দিবস পালনের জন্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বলেছিলেন, ভারতের সাথে আমাদের খুব বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। সম্পর্কটি সবচেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্ব আমাদের হৃদয়ে। বন্ধুত্বের বন্ধন দৃঢ় এবং দীর্ঘস্থায়ী থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আজ আমি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তার সরকার, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের এবং সামগ্রিকভাবে ভারতের জনগণের উদারতার কথা স্মরণ করছি। তারা বাংলাদেশ থেকে আসা ১ কোটি উদ্বাস্তুকে বসবাসের ব্যবস্থা করে। এবং মুজিবনগর সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে তারা বাংলাদেশের পক্ষে কূটনৈতিক প্রচারণা চালায়।

সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের অংশীদারিত্ব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক, দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় যা আমাদের কাজের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক কাঠামো প্রদান করে। আজ, আমাদের বিশাল অংশীদারিত্ব পরিপক্ক হয়েছে, গতিশীল, ব্যাপক এবং কৌশলগত আকার নিয়েছে এবং সার্বভৌমত্ব, সমতা, বিশ্বাস এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধার ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং অন্যান্য অগণিত অভিন্নতার যৌথ মূল্যবোধে পরিগণিত। নিয়মিত উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক মিথস্ক্রিয়া ও আদান-প্রদানের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও সুদৃঢ়, বহুমুখী ও প্রসারিত হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের মূল বিষয় এখন জনগণের মধ্যে সংযুক্তি, বাণিজ্য, ব্যবসা ও যোগাযোগে মনোনিবেশ করা দরকার, যা উভয় পক্ষের জন্য পর্যায়ক্রমে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ আরোপিত বিধিনিষেধ সত্ত্বেও আমাদের সম্পর্ক স্থিতিশীল এবং শক্তিশালী রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী গতিশীল অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর