মৈত্রী দিবস ভারত-বাংলাদেশের জনগণের গভীর সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ

, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-09-01 01:38:31

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, মৈত্রী দিবস ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের গভীর সম্পর্কের ধারাবাহিকতার বহিঃপ্রকাশ। বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতা ও অবদান সর্বদা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্পিকার এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমন্বিত প্রচেষ্টায় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। সকল বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সমাধানে অতীতের মতো ভারত-বাংলাদেশ একসাথে কাজ করবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্পিকার।

তিনি বলেন, মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এদেশ সফর ভারত-বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ককে জোরদার করেছে। ভারত ও বাংলাদেশ একই সীমান্ত ব্যবহারের পাশাপাশি ৫৪টি সাধারণ নদী ব্যবহার করে থাকে। পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্য, সন্ত্রাস দমন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে উভয় দেশের পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটেছে। গঙ্গা পানিচুক্তি, তিস্তা পানিবন্টনসহ আরও কিছু বিষয়ে উভয় দেশের সরকার পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।

পঞ্চাশ বছর আগে এই দিনে, বাংলাদেশের প্রকৃত বিজয়ের দশ দিন আগেই, ভুটান ও ভারত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ভারতীয় হাইকমিশন একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সেনাপ্রধান, সরকারের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, ব্যবসায়ী ও শিল্পনেতা, গণমাধ্যম, শিক্ষাবিদ এবং সুশীল সমাজসহ বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিগণ।
এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।

২০২০ এবং ২০২১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মানের জন্য নির্বাচিত বাংলাদেশি নাগরিকদেরকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং বিপুল দর্শকের উপস্থিতিতে সংবর্ধিত করা হয়েছিল।

গান বাংলার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কৌশিক হোসেন তাপসের পরিচালনায় একটি জমকালো সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে উদযাপনের সমাপ্তি ঘটে। অনুষ্ঠানে ভারত ও বাংলাদেশের ৫০ জন বিশিষ্ট শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ থেকে বর্তমান সোনালী অধ্যায় পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক নির্মিত একটি ভিডিও ঢাকায় এবং বিশ্বব্যাপী মৈত্রী দিবসের অন্যান্য অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়। একটি উন্মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে উভয় দেশ কর্তৃক যৌথভাবে নির্বাচিত লোগো এবং ব্যাকড্রপ ঢাকায় এবং সারা বিশ্বে প্রদর্শিত হয়।

এ সময় ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীকে মরণোত্তর পদ্মভূষণ পুরস্কার, এনামুল হককে পদ্মশ্রী পুরস্কার, লে. কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলীকে পদ্মশ্রী পুরস্কার ও সানজিদা খাতুনকে পদ্মশ্রী পুরস্কার তুলে দেন স্পিকার।

এ সম্পর্কিত আরও খবর