বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সাত কিলোমিটার দৌঁড়ে গিয়ে সাত বীরশ্রেষ্ঠর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ব্যতিক্রমধর্মী এ আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রানার্স নামে একটি সংগঠন। এ সময় একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের সমাধি নিয়মিত পরিচ্ছন্ন রাখা নারীকে সম্মাননা জানানো হয়।
বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে দৌঁড় শুরু করেন ৬৩ জন। সেখানে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মো. তাকজিল খলিফা কাজল।
অংশগ্রহনকারিরা উপজেলার প্রধান সড়ক হয়ে দরুইনে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামালের সমাধিতে যান। সেখানে প্রথমে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। পরে সাত বীরশ্রেষ্ঠের প্রতিকৃতিতে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পনের পাশাপাশি শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে জমসেদ শাহ্ ও মোস্তফা কামালের সমাধির স্বেচ্ছায় পরিচ্ছন্ন কর্মী ফুলবানুকে সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।
এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার অফিসার (ওসি) মো. মিজানুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার জসসেদ শাহ্, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. মানিক মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার মিয়া, সাংবাদিক জুটন বনিক, বিশ্বজিৎ পাল বাবু, আশীষ সাহা প্রমুখ। উপস্থিত সুধীজনেরা আয়োজনের ভূয়সি প্রশংসা করেন।
দৌঁড়ে অংশ নেওয়া সামিয়া আক্তার বলেন, 'আর কখনো জাতির বীর সন্তানদের প্রতি এভাবে শ্রদ্ধা জানাতে আসিনি। বিষয়টি আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে।'
জাহিদ হাসান ফারদিন বলেন, 'আমি আবেগাপ্লুত। এমন ব্যতিক্রমী আয়োজন সত্যিই আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমরা সবাই সুন্দরভাবে দৌঁড়ে আসতে পেরেছি।'
উদ্যোক্তাদের অন্যতম মারিয়াম তাবাসসুম বলেন, 'তরুণ প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করতে আমাদের এ আয়োজন। ৫০ জনকে নিয়ে আমাদের এ আয়োজন করার কথা থাকলেও বেশ কয়েকজন তরুণীসহ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৬৩ তে। সকলের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহন আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতে আমরা আরো ব্যতিক্রম কিছু নিয়ে হাজির হবো।'