২০২১ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাস ও জিপিএ -৫ এর সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর পাসের হার ৯১ দশমিক ১২ শতাংশ। গত বছর ছিল ৮৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ বেশি পাস করেছে। এবার মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ হাজার ৭৯১ জন শিক্ষার্থী। গত বছর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ হাজার ৮ জন। যা গতবারের তুলনায় ৩ হাজার ৭৮৩ জন বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এ সময় তিনি বলেন, 'এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৬১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মোট ১২ হাজার ৭৯১ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। '
করোনা সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ের আট মাস পর অনুষ্ঠিত হওয়া (গত ১৪ নভেম্বর পরীক্ষা শুরু হয় এবং শেষ হয় ২৩ নভেম্বর) এ পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ২০৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ১ লাখ ৬১ হাজার ১২২ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়।করোনা পরিস্থিতির কারণে এবারের পরীক্ষা নেয়া হয় সংক্ষিপ্ত আকারে এবং শুধুমাত্র তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের ওপর। প্রতি বিষয়ে মোট ১০০ নম্বরের পরিবর্তে পরীক্ষা হয় ৫০ নম্বরের এবং পরীক্ষার সময়ও ছিল অর্ধেক। অর্থাৎ তিন ঘন্টার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল দেড় ঘন্টায়। ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয়ের যে পরীক্ষা নেওয়া হয়নি সেসব বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের জেএসসি ও নবম শ্রেণির ফল মূল্যায়ন করেই ফলাফল তৈরি করা হয়েছে।
এবার অংশ নেয়া মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭৫ হাজার ২৫৩ জন এবং ছাত্রী ৮৫ হাজার ৮৬৯ জন। গতবারের মত এবারেও এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। অন্যদিকে, মানবিক এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেড়েছে।
এদিকে, মহানগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় এবার ১১২টি কেন্দ্রে ৭১০টি প্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৯ হাজার ৯৪৭ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ছাত্র ৫০ হাজার ৯৪১ জন এবং ছাত্রী ৫৯ হাজার ৬ জন।
কক্সবাজার জেলায় মোট ২৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৫ হাজার ৯৩৭ জন পরীক্ষার্থী।
রাঙ্গামাটি জেলায় ২০টি কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেয় ৯ হাজার ৩৭২ জন।
খাগড়াছড়ির ২২ টি কেন্দ্রে থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১০ হাজার ৬৩৭ জন। যা গতবারের তুলনায় কিছুটা বেশি।
এছাড়াও বান্দরবানের ১২ টি কেন্দ্র থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ৫ হাজার ২২৯ জন পরীক্ষার্থী। এখানেও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
তবে এবারের এসএসসিতে অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৮৫ জন নিয়মিত। ১৯ হাজার ৪৯৯ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ছিল।
২০৪টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৬টি স্কুলের মোট পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৮ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিল ১ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩৬ জন। পাস করেছে ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫০ জন। এদের মধ্যে ছাত্র ৬৭ হাজার ১৭১ জন এবং ছাত্রী ৭৭ হাজার ৩৭৯ জন।
ছাত্র পাসের হার ৯০.১৪ শতাংশ যা গত বছরের তুলনায় ৫.২১ শতাংশ বেশি এবং ছাত্রী পাসের হার ৯১.৯৯ শতাংশ যা গত বৎসরের তুলনায় ৭.৩৯ শতাংশ বেশি। এবার জিপিএ ৫ পেয়েছে সর্বমোট ১২ হাজার ৭৯১ জন যা গত বৎসরের তুলনায় ৩ হাজার ৭৮৩ জন বেশি। এর মধ্যে ছাত্র ৫ হাজার ৩৮২ জন যা গত বৎসরের তুলনায় ১ হাজার ১৩৭ জন বেশি এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৪০৯ জন যা গত বৎসরের তুলনায় ২ হাজার ৬৪৬ জন বেশি।