চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে হত্যা, তদন্তে পিবিআই

ঢাকা, জাতীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-08-25 15:22:48

আশুলিয়ার চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে হত্যার ঘটনায় এখনো কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার দুদিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। যে বাসটিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সনাক্ত করাও যায়নি।

মামলার তদন্তভার ন্যস্ত করা হয়েছে পুলিশের বিশেষজ্ঞ ইউনিট 'পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে।

এর আগে ঘটনার ঘটনাটির গুরুত্ব বিবেচনায় আশুলিয়া থানা পুলিশ মামলাটির তদন্তভার ন্যস্ত করেছিলো গোয়েন্দা পুলিশকে। এদিকে অধিকতর তদন্তে নেমে গতকাল রোববার বিকেলেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছে পিবিআই।

সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কের  শুক্রবার রাতে চলন্ত বাস থেকে বাবাকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনার বিষয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হলে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার কথাও জানান  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকায় মেয়েকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ ফেরার পথে দুর্বত্তের কবলে পড়েন আকবর আলী।

আকবর আলী জানান, আশুলিয়ার ইউনিক বাসস্ট্যান্ড থেকে তারা একটি বাসে ওঠেন। এক পর্যায়ে বাসের ভেতরে থাকা চালক, হেলপার ও সুপার ভাইজারের সাথে তাদের বাকবিতণ্ডতা হয়। বাসটি বেশ কয়েক ঘণ্টা তাদেরকে রাস্তায় ঘুরিয়ে আশুলিয়া ব্রিজের কাছে পৌঁছুলে ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া হয়।

আহত অবস্থায় তিনি বিষয়টি টহল পুলিশকে জানালে কিছুটা দূরত্বে মরাগাং এলাকায় রাস্তার পাশে পাওয়া যায় মেয়ে জরিনা বেগমের নিথর দেহ।

আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এস আই) বিজন কুমার দাশ জানান, মেয়েকে নিয়ে আকবর আলী যে স্থানটি থেকে গাড়িতে উঠেছিলেন সেখানকার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে ।

আকবর আলী বলেন, মেয়েকে হারিয়ে তিনি মানসিক ও শারীরিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। এর বেশি কিছু তিনি আর বলতে পারেন নি।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার সুপার মোহাম্মদ হাসান বারী নুর বলেন, তদন্ত শুরুর পর তারা অত্যন্ত নিবিড়ভাবে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। জরিনার কললিস্ট থেকে তার মোবাইল ফোনের কথোপকথনের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।

তিনি জানান, এজাহারে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। তিনি বলেন, থানা-পুলিশ যদি আরও দায়িত্বশীল হতো, তাহলে প্রথমেই এই মামলা শনাক্ত করা সম্ভব ছিল। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী নুর ইসলাম বাদী হয়ে বাসের চালক, হেলপারসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার পর চাঞ্চল্যকর এই মামলাটির তদন্তে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছি। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে আমরা সচেষ্ট রয়েছি’ জানান মোহাম্মদ হাসান বারী নুর।

এ সম্পর্কিত আরও খবর