নির্বাচন ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ, পুনরায় ভোট গননার দাবি

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া | 2023-09-01 05:26:35

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সেলিম নির্বাচনে কমিশনের কাছে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি আড়াইসিধা ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহার কাছে এ বিষয়ে লিখিত দিয়েছেন। মো. সেলিম আড়াইসিধা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। আড়াইসিধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি তিনি।

জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে বুধবার আশুগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আড়াইসিধা ইউপিতে সেলিমের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী ছিলেন নৌকা প্রতিকের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু ছায়েম (আনারস)। এই ইউপিতে নৌকার প্রার্থীর চেয়ে ৪৪ ভোট বেশি পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী আবু ছায়েম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হন। তিনিপেয়েছেন ৫ হাজার ৫১৭ ভোট এবং নৌকার প্রার্থী মো. সেলিম পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৩ ভোট।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত আড়াইসিধা ইউপির নয়টি কেন্দ্রে ভােট হয়। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও বিকেলে পর থেকে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ইউপি সদস্য প্রার্থী ও চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপারের সিরিয়ালে অমিল ছিল।

পাশাপাশি ৩ নম্বর আড়াইসিধা কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের তিন নম্বর বুথে ইউপি সদস্য ও চেয়ারম্যানের ব্যালট পেপারের মধ্যে অমিল ছিল। ভোট গননার সময় ৮ নং ভবানীপুর শহীদ স্মৃতি এইচ এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যানের প্রাপ্ত ভোটের সঙ্গে ইউপি সদস্যের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান রয়েছে।

ফলাফল শিটে প্রায় ১৫০ ভোটের ব্যবধান দেখা গেছে। কিন্তু রাতে উপজেলা পরিষদ থেকে বেসরকারি ফলাফলে মো. সেলিমকে ৪৪ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয়। এছাড়া প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা সকল কেন্দ্রেই ভোট গণনার আগে পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছে। পাশাপাশি ভোট গণনার পর পোলিং এজেন্টদের ফলাফল সিটও সরবরাহ করা হয়নি। পুনরায় ভোট গননা করলে বিষয়গুলো পরিস্কার হবে।

আড়াইসিধার ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম বলেন, আনারস প্রতীকের ভোটের সঙ্গে নৌকার ভোট মিশিয়ে গণনা করা হয়েছে। ৮ নং ভবানীপুর শহীদ স্মৃতি এইচ এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া ও জুয়েল মিয়া মাস্টারের ফলাফল এখনো ঘােষণা বাকি রয়েছে। ওই কেন্দ্রে শুধু চেয়ারম্যানের ভোট ঘোষণা করা হয়েছে।

এছাড়াও ইউপি সদস্যদের ফলাফল সিটও সরবরাহ করা হয়নি। আমাকে ৪৪ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে ৭নং আড়াইসিধা সেকান্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ নং ভবানীপুর শহীদ স্মৃতি এইচ এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৩ নম্বর আড়াইসিধা কামিল মাদ্রাসাসহ কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবি জানিয়েছি। আমরা একটাই ইচ্ছা, পুনরায় ভোট গণনা করা হউক। যদি এক ভোটেও আমি পরাজিত হয়, কোনো আক্ষেপ থাকবে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন, নৌকার প্রার্থীর লিখিত অভিযোগটি পেয়েছি। অভিযোগটি নির্বাচন কমিশনে পাঠাব। নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত দিবে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও খবর