দুই গারো কিশোরী ধর্ষণ: ধর্ষক রিয়াদের ছিল কিশোর গ্যাং

, জাতীয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2023-08-31 11:09:07

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনার দেড় সপ্তাহ পর মূল আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদকে (২২) গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।ধর্ষক রিয়াদ এলাকায় ১২-১৩ জনের একটি কিশোর গ্যাং দলের নেতৃত্ব দিত বলে জানায় র‍্যাব।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থেকে গ্রেফতার করা হয় রিয়াদকে।

গ্রেফতার রিয়াদ মাদকব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত ছিল। রিয়াদ এলাকায় ১২-১৩ জনের একটি কিশোর গ্যাং দলের নেতৃত্ব দিত। যারা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত ।

আজ দুপুরে কাওরান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানান।

মঈন বলেন, গেল বছরের ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে বিয়ের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে রাত আনুমানিক ২টার সময় ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট থানার কাটাবাড়ি এলাকায় স্কুল পড়ুয়া দুই গারো সম্প্রদায়ের কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হন। এসময় তাদের সঙ্গে থাকা ১০ বছরের এক শিশু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

ওই ঘটনার পর থানায় মামলা না করতে আসামিরা ভিকটিমের পরিবারকে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে। যার কারণে তিনদিন পর ভিকটিমের পরিবার ৩০ ডিসেম্বর হালুয়াঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন বলে জানান তিনি।

ধর্ষণের ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যমে গুরুত্ব সহকারে প্রচার হলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন হয়। এ নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করলে র‍্যাব আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। যার ফলে আজ মধ্যরাতে মূলহোতা রিয়াদকে গ্রেফতার করা হয়।

মঈন জানান, আসামি সোলায়মান হোসেন রিয়াদ এলাকায় চিহ্নিত বখাটে হিসেবে পরিচিত। সে এলাকায় ১২-১৩ জনের একটি বখাটে দলের নেতৃত্ব দিত। সে এবং তার সহযোগীদের অত্যাচারে এলাকার স্কুল পড়ুয়া মেয়েরা অতিষ্ঠ। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করারও অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত সোলায়মান হোসেন রিয়াদের নামে হালুয়াঘাট থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মাদক চোরাচালান মামলা চলমান রয়েছে। ইতিপূর্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং কারাভোগ করে। এছাড়া রিয়াদ সংঘবদ্ধভাবে এলাকায় মাদক চোরাকারবারি এবং গ্রুপ ভিত্তিক বিভিন্ন চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে মঈন বলেন, আসামির পিতা একটি দলের সঙ্গে জড়িত এবং তার মামা বর্তমান মেম্বার। বাবা-মামার ক্ষমতাবলে রিয়াদ এমন বেপরোয়া হয়ে উঠতে পারে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এ সম্পর্কিত আরও খবর