সদ্য বিদায়ী ২০২১ সালে দেশে ৫৩৭১টি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৬২৮৪ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২০৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২২১৪ জন। এদের মধ্যে ৭৪.৩৯ শতাংশ ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।
২০২১ সালের সড়ক দুর্ঘটনার এসব তথ্য উঠে এসেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনে। শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটি তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ১৬.১৪ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ৫৪.৮১ শতাংশ। আর ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে ৫০.৪৭ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ৫১.৩৩ শতাংশ।
মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত বছর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৭৪.৩৯ শতাংশ ১৪ থেকে ৪৫ বছর বয়সী।
এতে বলা হয়, গত বছর এসব দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৫২৩ জন পথচারী। সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ৮০৩ জন শিক্ষার্থী মারা গেছেন। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়েছে ৪.২২ শতাংশ। ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি বেড়েছে ১৫.৭০ শতাংশ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ সময় ৭৬টি নৌদুর্ঘটনায় ১৫৯ জন নিহত, ১৯২ জন আহত এবং ৪৭ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে একটি লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫১ জন নিহত, ২৩ জন চিকিৎসাধীন এবং অজ্ঞাতসংখ্যক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে। এ ছাড়া ঈদে ঘরমুখো যাত্রায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরিঘাটে তাড়াহুড়া করে নামার সময় ছয়জন নিহত এবং ৩১ জন আহত হয়েছে। ১২৩টি রেলপথ দুর্ঘটনায় মারা গেছে ১৪৭ জন, আহত হয়েছে ৩৯ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন বলছে, মোটরসাইকেলের পর দুর্ঘটনার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী থ্রি-হুইলার। এসব যানবাহনের দুর্ঘটনায় ৯৩৪ জন মারা গেছে, যা মোট মৃত্যুর ১৪.৮৬ শতাংশ। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে দুই হাজার ১৪টি জাতীয় মহাসড়কে, এক হাজার ৬৭০টি আঞ্চলিক সড়কে, ৯৫৪টি গ্রামীণ সড়কে, ৬৬৫টি শহরের সড়কে এবং অন্য স্থানে ৬৮টি সংঘটিত হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশি হয়েছে দুর্ঘটনা।