কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে ১৭টি অবৈধ ইটভাটা মালিককে ৪৩ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদফতরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান শেষ হয় সন্ধ্যার পরে। পরিবেশ অধিদফতর ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন এ অভিযান পরিচালনা করেন।
এ সময় কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান, সহকারি পরিচালক কমল কুমার বর্মনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদা পারভীন জানান, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ এর সংশোধিত ২০১৯ আইন অনুযায়ী ভেড়ামারা উপজেলার এমএইচটি ইটভাটাকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা, আরএমবি এবং এম আর আই ইটভাটাকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে, মানিক ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, এমএইচ ব্রিকসকে এক লাখ টাকা, এএমবি ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, আরবিএফ ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, এমবিএফ ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিবিএফ ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকা, ফোরস্টার ব্রিকসকে ১ লাখ ৫০ হাজার, এএমবি ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা, কে এন্ড বি ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, এমআরএম ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, এমএসএস ব্রিকসকে ৩ লাখ টাকা, এস আরবি ব্রিকসকে ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও একতারা ব্রিকসকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আতাউর রহমান জানান, কুষ্টিয়া জেলায় মোট ১২৬টি ইটভাটা রয়েছে। যার মধ্যে মাত্র ১৮টি ইটভাটার বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু এসব ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে আইন লঙ্ঘন করে ভাটা পরিচালনা করে আসছেন। এর মধ্যে অনেকে আবার হাইকোর্টে রিট পরিচালনা করে ইটভাটা পরিচালনা করে আসছেন। অবৈধ এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউই তা মানছে না। গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকায় দেখা যায়, কুষ্টিয়ার প্রায় শতভাগ ইটভাটায়ই দেদার কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।