সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ

, জাতীয়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ | 2023-09-01 20:16:03

নওগাঁর সাপাহারে জমিতে সেচের জন্য গভীর নলকূপ অপারেটরদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলার সুন্দরইল গ্রামের প্রায় অর্ধশত কৃষক উপজেলা বিএমডিএ সহকারী প্রকৌশলী বরাবর দুইটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুন্দরইল মৌজাস্থ একটি এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর ফারুক হোসেন, গভীর নলকূপ অপারেটর ও সুন্দরইল গ্রামের ওয়াজ মোহাম্মদের ছেলে আব্দুস সাত্তার এর পরিবর্তে দায়িত্বরত অপারেটর মোকতার হোসেন ও একই গ্রামের গমির মন্ডলের ছেলে তসলিম উদ্দীন। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নিরীহ সাধারণ কৃষকদের ও গ্রাহকদের জিম্মি করে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর গৌরীপুর ফারুক হোসেন অপারেটর হস্তান্তর করার কথা বলে কৃষকদের কাছে থেকে অফিস খরচ নাম ভাঙ্গিয়ে ৬ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও প্রতিবছর পানি সেচ দেওয়ার আগে প্রত্যক কৃষকের কাছে থেকে বিঘা প্রতি ৭শত টাকা অগ্রিম আদায় করে থাকে। অতিরিক্ত টাকা না দিলে বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের হয়রানি করা হয়। জমিতে সেচের পানি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়াও একই মৌজাস্থ আরও দুটি গভীর নলকূপের অপারেটর মোকতার হোসেন ও তসলিম মন্ডলের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়।

এ বিষয়ে কৃষক মোহাম্মদ আলী, আব্দুল হাকিম, রবিউল, ইসমায়িল, মজিবরের সাথে কথা হলে তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে সেচের পানি নিয়ে ফসল চাষাবাদ করে আসছি আমরা। এতে করে উৎপাদন খরচ বেশী হওয়ায় ফসল চাষ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ায় পরিবর্তে ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে। অপারেটরদের অতিরিক্ত টাকা দিলে সেচের পানি মিলে না দিলে পানি দেওয়া বন্ধ রাখা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন তারা। অতিরিক্ত টাকা না পাওয়ায় অপারেটররা সেচ ঘরে তালা লাগিয়ে রেখেছে। যার ফলে অধিকাংশ জমিতে এখনো সেচের পানি দেওয়া হয়নি। এতে করে প্রায় সাড়ে ৩শ বিঘা জমিতে ধান চাষ নিয়ে চিন্তিত ওই গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক কৃষক। তাই কৃষকের স্বার্থে অভিযুক্ত ওই তিন অপারেটর পরিবর্তন করে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া ও সেই সাথে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষকে মাঠ পর্যায়ে তদারকি বাড়ানো দাবি জানান কৃষকরা।

এ বিষয়ে এলএলপি সেচ প্রকল্পের অপারেটর ফারুক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

গভীর নলকূপ অপারেটর তসলিম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার গভীর নলকূপের পানি দিয়ে গ্রামে সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা আছে মাত্র দেড় শত বিঘা জমি। তবে তিনি অন্যান্য গভীর নলকূপের অপারেটররা টাকা বেশি আদায় করেন বলে তিনিও অতিরিক্ত ৩শ টাকা করে বেশি নিয়ে থাকেন বলে স্বীকার করেন।

আরেক গভীর নলকূপের অপারেটর মোকতার হোসেনেরর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, টাকা যেগুলো বেশি নেওয়া হয় সেগুলো ইঞ্জিন বিকল্প হলে তা মেরামত করা হয়। এছাড়াও বি এমডিএর সাব ইঞ্জিনিয়ার জাহাঙ্গীর আলমকে দিতাম।

এ বিষয়ে উপজেলা বিএমডিএ'র সহকারি প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, আমি আবেদন পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এবং এই সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

এ সম্পর্কিত আরও খবর