নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারে অভিযান চালিয়ে মো. হারুন মানিক (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি এক নলা বন্দুক, ৮টি ককটেল ও একটি চাইনিজ চাপাতি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হারুন বাহিনীর প্রধান ও তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা রয়েছে বলে জানায় র্যাব।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। গ্রেফতারকৃত হারুন জীরতলী ইউনিয়নের বারইচাতল গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার রাতে বাংলা বাজারের মঞ্জুর হোন্ডা গ্যারেজে অভিযান চালায় র্যাব-১১ এর একটি দল। অভিযানকালে ওই স্থান থেকে হারুন বাহিনীর প্রধান হারুনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছে অস্ত্র আছে বলেও স্বীকার করেন। রাতে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জীরতলী ইউনিয়নের বারইচাতল গ্রামের ছমদ আলী ব্যাপারী বাড়ির আবদুল মন্নানের রান্না ঘর থেকে বন্দুক, চাপাতি ও ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত হারুনের বিরুদ্ধে ৪টি অস্ত্র,২টি হত্যা, ৪ টি চুরি, ১ টি মাদক,১টি ছিনতাই,১টি নারী নির্যাতন,১টি পুলিশ অ্যাসল্ট,২টি মারামারির মামলাসহ সর্বমোট ১৬টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন আরও জানান, হারুন নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকার স্থানীয়দের উদ্ধারকৃত অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত। এ ছাড়া তিনি একাধিক হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অস্ত্রবাজি, মাদক বিক্রয়, ধর্ষণ, অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করত। তার এসব কাজে কেউ বাঁধা দিলে ভয় দেখিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করত।